নিজস্ব সংবাদদাতাঃ বিএসএফ (BSF) আইসিপি পেট্রাপোলে সোনা পাচার করতে যাওয়া এক যাত্রীকে হাতেনাতে ধরেছে। জানা গিয়েছে, দক্ষিণবঙ্গ সীমান্তের আইসিপি পেট্রাপোলের ১৪৫ ব্যাটালিয়নের সতর্ক বিএসএফ জওয়ানরা এক ব্যক্তির সোনা পাচারের প্রচেষ্টা ব্যর্থ করে। সেইসঙ্গে ১৫০.৯৪০ গ্রাম ওজনের একটি সোনার চেইন সহ ওই ব্যক্তিকে গ্রেফতার করে বিএসএফের জওয়ানরা। আটক হওয়া এই সোনার আনুমানিক মূল্য ৯,২৯,৪৮৯ টাকা।
কর্তব্যরত বিএসএফের জওয়ানরা এক গত ৫ মে শুক্রবার প্রায় সকাল ১০:৫০ টার সময়ে যাত্রী টার্মিনালে চেক করার সময় এক সন্দেহভাজন যাত্রীকে বাংলাদেশ থেকে ভারতে প্রবেশ করতে দেখেন। জওয়ানরা তাকে থামিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করলে সে কোনো সন্তোষজনক উত্তর দিতে পারে না বলে খবর। তারপর বিএসএফের কর্তব্যরত জওয়ানরা তল্লাশি করে ওই ব্যক্তির কাছ থেকে একটি ভারী সোনার চেইন বাজেয়াপ্ত করে যা সে তার কাপড়ে লুকিয়ে রেখেছিল।
জওয়ানরা যাত্রীর কাছ থেকে সোনার চেইনটির নথি ও বিবরণ জানতে চাইলে ওই ধৃত তা উপস্থাপন করতে ব্যর্থ হয়। এরপর জওয়ানরা ওই যাত্রীটিকে ধরে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য পোস্টে নিয়ে আসে। আটক হওয়া ওই ব্যক্তির নাম শ্রীকান্ত চন্দ্র সিংহ। তাঁর বাড়ি বাংলাদেশের চট্টগ্রামে বলে খবর। জেরার মুখে শ্রীকান্ত জানায়, সে গত ছয় বছর ধরে নিজের দোকানে স্বর্ণকারের কাজ করে আসছে। কলকাতার মধ্যমগ্রামে বসবাসরত নিজের কাকা দিলীপের সঙ্গে প্রথম বার দেখা করতে আসছিল শ্রীকান্ত। সে এখানে আসার পর এই সোনার চেইনটি তার কাকার হাতে তুলে দিত। কিন্তু তার আগেই বিএসএফ জওয়ানরা তাকে সোনার চেইনসহ আটক করে ফেলে।
ধৃত ওই ব্যক্তিকে সোনার চেইনসহ পেট্রাপোল কাস্টমস অফিসে হস্তান্তর করা হয়েছে। সাউথ বেঙ্গল ফ্রন্টিয়ারের মুখপাত্র বলেন, 'চোরাকারবারীরা নতুন নতুন উপায়ে পাচারের চেষ্টা করছে। কিন্তু বিএসএফ জওয়ানদের সতর্কতা ও বুদ্ধিমত্তার কারণে চোরাকারবারীরা ক্রমাগত ধরা পড়ছে এবং তাদের পরিকল্পনা মুখ থুবড়ে পড়ছে।' জওয়ানদের এত বড় সাফল্যে তিনি খুশি প্রকাশ করেছেন।
বর্ডার সিকিউরিটি ফোর্স সীমান্তে বসবাসকারী লোকদের কাছে আবেদন করছে যে যদি তাদের কাছে সোনা চোরাচালান সংক্রান্ত কোনো খবর আসে তাহলে তারা বিএসএফের সীমা সাথী হেল্পলাইন নম্বর ১৪৪১৯ এ রিপোর্ট করে জানতে পারেন। সঠিক তথ্য প্রদানকারী ব্যক্তিকে উপযুক্ত পুরষ্কারের অর্থ প্রদান করা হবে এবং তার পরিচয় গোপন রাখা হবে।