বিবাহিত জীবনের প্রথম দিনেই নব দম্পতির এই কাজে গর্বিত সকলে

বিবাহিত জীবনের প্রথম দিনেই স্বেচ্ছায় রক্তদান করে এলাকার মানুষের মন কাড়লেন উখড়া সন্ন্যাসী কালিতলা পাড়ার নব দম্পতি। উখড়া এলাকার বাসিন্দা রাহুল ব্যানার্জী, বরাবরই সমাজ সেবামূলক কাজের সঙ্গে যুক্ত। পাশাপাশি উখড়া এলাকার ডোনার্স ক্লাবের সদস্যও তিনি।

author-image
SWETA MITRA
আপডেট করা হয়েছে
New Update
asan.jpg

 

নিজস্ব প্রতিনিধি, অন্ডাল : বিবাহিত জীবনের প্রথম দিনেই স্বেচ্ছায় রক্তদান করে এলাকার মানুষের মন কাড়লেন উখড়া সন্ন্যাসী কালিতলা পাড়ার নব দম্পতি। উখড়া এলাকার বাসিন্দা রাহুল ব্যানার্জী, বরাবরই সমাজ সেবামূলক কাজের সঙ্গে যুক্ত। পাশাপাশি উখড়া এলাকার ডোনার্স ক্লাবের সদস্যও তিনি। তাদের ক্লাব নিয়মিত স্বেচ্ছায় রক্তদান শিবিরের (Blood donation camp) আয়োজন করে । উখড়া সন্ন্যাসী কালীতলা পাড়ার বাসিন্দা রাহুল ব্যানার্জী পূর্ব বর্ধমানের গুসকরার বাসিন্দা মৌমিতার সঙ্গে বিবাহ বন্ধনে আবদ্ধ হন। গতকাল অর্থাৎ সোমবার তারা বিবাহ বন্ধনে আবদ্ধ হন। মঙ্গলবার প্রীতিভোজের দিন সকালেই রাহুলের বাসভবন উখড়ায় বিবাহ মণ্ডপে আয়োজন করা হয় স্বেচ্ছায় রক্তদান শিবিরের । নববধূকে সঙ্গে নিয়ে এদিন তার পরিবার ও আত্মীয়দের মধ্যে প্রায় ২৫ জন সদস্য স্বেচ্ছায় রক্তদান করেন । বিবাহিত জীবনের প্রথম দিনেই রাহুল মৌমিতার এই কর্মকাণ্ড প্রশংসা কুড়ালো এলাকাবাসীর। 
বিবাহিত জীবনের প্রথম দিনেই স্বেচ্ছায় রক্তদান করার পরিকল্পনা প্রসঙ্গে রাহুল বাবু বলেন, তিনি একজন সমাজকর্মী এবং নিয়মিত স্বেচ্ছায় রক্তদানের কাজ করে থাকেন । তবে তার নববধূকে তার এই পরিকল্পনার কথা যখন বলেন তখন প্রথমে নববধূ একটু ভীত হলেও সব ভয় কাটিয়ে স্বামীর পাশে দাঁড়ান মৌমিতা। রাহুল বাবু বলেন, বিবাহিত জীবনের প্রথম দিনেই এই ইচ্ছাকে তাঁর স্ত্রী যেভাবে স্বীকৃতি দিয়েছে তার জন্য তিনি গর্বিত। তিনি জানান, প্রত্যেক মানুষেরই যে কোনো শুভ অনুষ্ঠানের পাশাপাশি এই ধরনের কল্যাণমূলক অনুষ্ঠান করা উচিত । বর্তমানে রাজ্যের রক্তের সংকট একেবারে দূরীভূত না হলেও কিছুটা রক্তের সংকট মিটবে বলে আশা তার । এদিনের এই স্বেচ্ছায় রক্তদান শিবির অনুষ্ঠানের সংগৃহীত রক্ত পাঠানো হবে  দুর্গাপুরের একটি বেসরকারি হাসপাতালে।