নিজস্ব সংবাদদাতা : সময়টা যেন ভালো যাচ্ছে না গরু পাচার মামলায় তিহারবন্দি বীরভূম জেলার তৃণমূল সভাপতি অনুব্রত মণ্ডল। একেই তো জামিনের আবেদন করেও পাচ্ছেন না তার ওপর শুনানিই ভেস্তে গেল। ১৪ জুলাই ছিল গরু পাচার মামলার ভার্চুয়াল শুনানি। অথচ তিহার জেল কর্তৃপক্ষের সঙ্গে কোনও ভাবেই অনলাইন মাধ্যমে যোগাযোগ করতে পারল না আসানসোলের বিশেষ সিবিআই আদালত। এটাই প্রথমবার নয়। এর আগেও একই ঘটনা ঘটেছে ৩০ জুন।তবে, শুনানি না হলেও সিবিআইয়ের তরফে অনুব্রত মণ্ডল ও তাঁর মেয়ে সুকন্যা মণ্ডল, সেহগল হোসেন ও তাঁর স্ত্রী ও মা, অন্য দিকে, এনামুল হক ও তাদের ঘনিষ্ঠদের নামে ও বেনামে একাধিক জমির তথ্য বিচারকের কাছে জমা দেওয়া হয়।বিভিন্ন অ্যাকাউন্টে আর্থিক লেনদেন সমেত নতুন তথ্যগুলি কেস ডায়েরি হিসেবে জমা দেওয়া হয়েছে। এছাড়াও নির্মীয়মান দুটি পেট্রল পাম্পের জমির তথ্যও দেওয়া হয়েছে বলে খবর। সিবিআইয়ের তরফে ৫০ লক্ষ টাকার মতো সম্পত্তির হিসেব দেওয়া হয়েছে।
ভার্চুয়াল শুনানি হয় তিহার জেলের ৭ নম্বর সেলের ফোনের মাধ্যমে। গুরুত্বপূর্ণ একটি ফোন। সেটিই কিনা বিকল হয়ে পড়ে রয়েছে! ফলে আরো একবার ভেস্তে গেল গরু পাচার মামলার শুনানি। ফলে এতে মামলার নিষ্পত্তি হতেও সময় বেশি লাগবে। কেন ফোনটি বিকল? জেল কর্তৃপক্ষ কি অবগত নয়? অবগত হলেও কেন ব্যবস্থা নেওয়া হয়নি উঠছে এমনই সব প্রশ্ন।
গরুপাচার মামলায় অনুব্রত মণ্ডল ছাড়াও নাম জড়িয়েছে তার কন্যা সুকন্যা মণ্ডল, প্রাক্তন দেহরক্ষী সায়গল হোসেনের। শুনানি না হওয়ায় এদেরও জেলের মেয়াদ বাড়লো খানিকটা। তার ওপর জামিনের আবেদনই জানাতে পারলেন না কেষ্টর আইনজীবী। অন্যদিকে সায়গলের তরফে কোনো আইনজীবীকে শুনানির সময় এজলাসে দেখাই যায়নি। শেষ পর্যন্ত মামলার পরবর্তী শুনানির দিন ঘোষণা করেন বিচারক। গরু পাচার মামলার পরবর্তী ভার্চুয়াল শুনানি ১০ আগস্ট।
পর পর দুবার ফোনের গেরোয় শুনানি ভেস্তে যাওয়ায় তিহার জেলের সুপারকে একটি মেল পাঠানো হয়েছে আসানসোলের বিশেষ সিবিআই আদালতের তরফে। মেলে ভার্চুয়াল শুনানির বিষয়টিতে গুরুত্ব সহকারে দেখার অনুরোধ জানানো হয়।
সিবিআইয়ের আইনজীবী আদালতে জানিয়েছেন, যে এখনও পর্যন্ত গরু পাচার মামলায় যে পরিমাণ সম্পত্তির হদিশ মিলেছে তাতে জমির পরিমাণ ১৫ একরেরও বেশি। একটি কোম্পানির কথাও উল্লেখ করা হয় যেখানে কেষ্ট কন্যা সুকন্যার ৯৩ শতাংশ ও পরিচারক বিদ্যুৎবরণ গায়েনের ৭ শতাংশ শেয়ার যাচ্ছে।খন্দকার কনস্ট্রাকশন নামে একটি কোম্পানিতে প্রচুর নগদ টাকা জমা হয়েছে বলে জানানো হয়েছে আদালতকে।কোম্পানির মালিক সেহগলের শ্যালক বলে জানা গিয়েছে। নতুন একটি চালকলের সন্ধান পেয়েছে সিবিআই। বিচারক এদিন এই মামলার বিষয়ে পুঙ্খানুপুঙ্খ তথ্য জানতে চান। সেই মতোই তথ্য দিয়েছে সিবিআই।