নিজস্ব সংবাদদাতা, পূর্ব মেদিনীপুর: নেতাজী তাঁর জীবনের আদর্শ মানুষ। দেশের জন্য আত্মত্যাগ করেছিলেন নেতাজী সুভাষ চন্দ্র বসু।সারা ভারতবর্ষের মানুষ নেতাজীকে আজও ভুলতে পারেননি। কারণ তারতবর্ষের স্বাধীনতা আন্দোলনে তাঁর ভূমিকা অপরিসীম। তবে নেতাজীর আদর্শকে আজও সন্মান দিয়ে আসছেন পূর্ব মেদিনীপুরের কোলাঘাট ব্লকের সিদ্ধা গ্রামের গোবিন্দ মান্না। তাঁর সিদ্ধা গ্রামেই রয়েছে একটি সেলুন। দিন আনা দিন খাওয়া এই ব্যক্তি খুব ছোট বয়সে কোলকাতায় ক্ষৌরকর্ম শেখার উদ্দেশ্যে যান। সেখানে বিভিন্ন বই পত্রপত্রিকা ও কিছু গুনি মানুষের সান্নিধ্যে আসেন। সেখানে নেতাজীর আদর্শ ও দেশের প্রতি ভালোবাসা সম্পর্কে জানেন এবং নেতাজীর আদর্শের প্রতি উদ্বুদ্ধ হন। এরপর তিনি গ্রামে ফিরে আসেন এবং জাতীয় সড়কের পাশে একটি সেলুন খোলেন। সেই সেলুনের নামকরণ করেন " নেতাজী সেলুন। ''
পাশাপাশি দোকানের ভেতরে রেখেছেন নেতাজীর বেশ কয়েকটি ছবি। দোকান খোলা ও বন্ধের সময় দোকানে থাকা দেবদেবীর ছবির পাশাপাশি নেতাজীর ছবিতেও ফুল ও ধুপ দিয়ে শ্রদ্ধা জানান। তবে বিশেষ বৈশিষ্ট্য এটাই, গোবিন্দ বাবু প্রতিবছর নেতাজীর জন্মদিনটা একটু ব্যতিক্রমিভাবে পালন করেন। গোবিন্দ বাবুর কথায়,' তাঁর সারাদিনের পরিশ্রম নেতাজীকে উৎসর্গ করেন। গোবিন্দ বাবুর কথায় নেতাজী দেশের জন্য এতকিছু ত্যাগ করেছেন। আমি একজন ক্ষৌরকার হয়ে কিছুই করতে পারিনি দেশের জন্য। তাই সারাদিনের পরিশ্রম নেতাজীকে উৎসর্গ করি। '
মূলত সিদ্ধাগ্রামের ক্ষৌরকার হোবিন্দ বাবু ২৩ শে জানুয়ারী নেতাজীর জন্মদিবসে সকাল থেকে রাত্রি পর্যন্ত যত মানুষের চুল দাড়ি কাটেন তা সম্পূর্ণ বিনামূল্যে। অর্থাৎ সারাদিনে যা সেলুনে কাজকর্ম করেন তার জন্য কোন পারিশ্রমিক নেননা। এই দিনটি নেতাজীকে উৎসর্গ করেন। গোবিন্দ বাবুর এই মহানুভবতায় রীতিমতো উচ্ছোসিত এলাকার মানুষজন। এমন ব্যতিক্রমি মানুষ সত্যিই সমাজে কমই দেখা যায়।