সত্যেশ্বর জিউর মন্দিরে জল ঢালতে লক্ষাধিক ভক্তের সমাগম! একাধিক জায়গায় খোলা হয়েছে জলদান শিবির
লাইনচ্যুত বনগাঁ লোকাল! দেড় ঘণ্টা রেল চলাচল ব্যহত
অপারেশন সিঁদুরে নিহত তুরস্কের সেনা! ভারতের বিরুদ্ধে তুরস্কের গোপন যুদ্ধ কি শুরু হয়ে গেছে?
পাকিস্তানকে সমর্থন করার জের! তুরস্কের সঙ্গে বাণিজ্যিক সম্পর্ক বয়কটের পথে ভারতীয় ব্যবসায়ীরা
২২ দিন পর পাকিস্তানের বন্দি জীবন মুক্ত করে ভারতে এলেন বিএসএফ জওয়ান! চোখের জলে ফের সীমান্তে পাঠাতে চাইছেন বাবা
বিদেশি মিডিয়ার 'ভারত-বিরোধী' প্রোপাগান্ডায় কোপ, তুরস্কের TRT ওয়ার্ল্ডের X অ্যাকাউন্টে তালা
চার রাতের সংঘর্ষে দমে গেল পাকিস্তান, ভারতের পিছু হটার প্রশ্নই নেই, রিপোর্ট পেশ রাষ্ট্রপতির কাছে
বদ্রীনাথ গিয়ে রহস্য মৃত্যু দুর্গাপুরের যুবকের! পাইন গাছে মিলল দেহ
সেই লস্কর-ই-তৈবা (এলইটি) সন্ত্রাসীদের অস্ত্র! দেখুন ভিডিও

NAAC এর স্বীকৃতিতে খুশির হাওয়া কেশপুর সুকুমার সেনগুপ্ত মহাবিদ্যালয়ে

পড়াশোনার মান উন্নয়নের জন্য ২০২৫ সালে NAAC স্বীকৃতি পেল।

author-image
Atreyee Chowdhury Sanyal
New Update
WhatsApp Image 2025-03-20 at 19.45.01

File Picture

নিজস্ব সংবাদদাতা: অবশেষে NAAC স্বীকৃতি পেল কেশপুর সুকুমার সেনগুপ্ত মহাবিদ্যালয়। ২০০৪ সালে পথচলা শুরু করেছিল পশ্চিম মেদিনীপুর জেলার মেদিনীপুর সদর মহাকুমার অন্তর্গত কেশপুর সুকুমার সেনগুপ্ত মহাবিদ্যালয়। কেশপুর ব্লকের ছাত্র-ছাত্রীদের উচ্চশিক্ষার ক্ষেত্রে মেদিনীপুর বা চন্দ্রকোনায় যেতে হতো। অনেকটা দূরত্ব অতিক্রম করে পড়াশোনা করতে হতো কেশপুরের গ্রামীণ এলাকার ছাত্র-ছাত্রীদের। যাতায়াতের সু-ব্যবস্থা না থাকার ফলে, অনেক ছাত্র-ছাত্রীকেই পড়াশোনা ছেড়ে দিতে হয়েছে। তৎকালীন বাম সরকারের আমলে দাবি উঠেছিল কেশপুরে গড়ে উঠুক মহাবিদ্যালয়। সেই মতোই ২০০৪ সালে গড়ে ওঠে কেশপুর সুকুমার সেনগুপ্ত মহাবিদ্যালয়। 

কেশপুর ব্লকের মানুষের কাছ থেকে সাহায্য সহযোগিতা নিয়ে সরকারের প্রচেষ্টায় গড়ে ওঠে এই মহাবিদ্যালয়টি। বেশ কয়েক বছর মহাবিদ্যালয়টি সাফল্যের সঙ্গে উন্নীত হতে থাকে এবং ইউজিসির অনুমোদন পায়। বর্তমানে কেশপুরের পাশাপাশি মেদিনীপুর, চন্দ্রকোনা ও দাসপুর ব্লকের ছাত্র-ছাত্রীরাও কেশপুর সুকুমার সেনগুপ্ত মহাবিদ্যালয়ে পড়াশোনার জন্য আসছে।

কেশপুর সুকুমার সেনগুপ্ত মহাবিদ্যালয় পড়াশোনার মান উন্নয়নের জন্য ২০২৫ সালে NAAC স্বীকৃতি পেল। NAAC এর আধিকারিকরা মহাবিদ্যালয় এসে সবকিছু খতিয়ে দেখে যান। মাপকাঠির নিয়ম অনুযায়ী NAAC এর দ্বিতীয় বিভাগে স্থান হয় কেশপুর সুকুমার সেনগুপ্ত মহাবিদ্যালয়ের। ফলে খুশির হাওয়া গোটা মহাবিদ্যালয় জুড়ে। 

WhatsApp Image 2025-03-20 at 11.58.55

মহাবিদ্যালয় এর অধ্যক্ষ ড: দীপক কুমার ভূঁইয়া বলেন, “আমি দায়িত্বভার গ্রহণ করার সময় দেখেছিলাম এখানে অনেকেই আসতে চাইত না পড়াশোনা করতে। তবে পরবর্তীকালে একটু একটু করে কেশপুর কলেজ অনেকটায় পরিকাঠামো এবং পড়াশোনার মান উন্নত হয়েছে। বর্তমানে বেশ কিছু ছাত্র-ছাত্রী এখান থেকে ফার্স্ট ক্লাসও পেয়েছে। আমরা ইউজিসির স্বীকৃতিও পেয়েছি বেশ কয়েক বছর আগে। বর্তমানে NAAC এর দ্বিতীয় বিভাগে স্বীকৃতি পত্রও পেলাম”। 

এই সাফল্যে অধ্যাপক অধ্যাপিকাদের পাশাপাশি খুশি ছাত্র-ছাত্রীরা। ফিজিওলজি বিভাগের ষষ্ঠ সেমিস্টারের ছাত্রী সোমাশ্রী হাজরা জানিয়েছে, “NAAC স্বীকৃতিতে আমরা অত্যন্ত খুশি। প্রথম যখন পড়তে এসেছিলাম তখন অনেকেই বলেছিল কেশপুর কলেজ খুব একটা ভালো না। যাতায়াতের সময় অনেক খারাপ কথাও শুনতে হয়েছে কলেজ সম্বন্ধে। আমরাও চেষ্টা করেছি ভালোভাবে ল্যাব ব্যবহার থেকে পড়াশোনা করতে। অবশেষে এই স্বীকৃতি পাওয়াতে আমরা খুবই গর্বিত এবং আনন্দিত”।