নিজস্ব প্রতিবেদন : বৃহস্পতিবার পাথরপ্রতিমার শিবগঞ্জে স্বামী-স্ত্রীর মৃতদেহ উদ্ধার হওয়ার ঘটনায় স্থানীয় এলাকায় আতঙ্ক ছড়িয়েছে। পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছে মৃতদেহ দুটি উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য পাঠিয়েছে। প্রাথমিক তদন্তের মাধ্যমে পুলিশ ঘটনার কারণ খতিয়ে দেখার চেষ্টা করছে। স্থানীয় জনগণের মধ্যে নানা জল্পনা-কল্পনা শুরু হয়েছে। কী কারণে এই ঘটনা ঘটেছে, তা জানতে পুলিশ তদন্তে নেমেছে।
স্থানীয় সূত্রে খবর, মৃত ব্যক্তি মনোরঞ্জন কর ওরফে পশুপতি (৪৫) এবং তাঁর স্ত্রী দুর্গারানি কর (৪০)। তাঁদের একটি ছেলে কেরালায় পরিযায়ী শ্রমিকের কাজ করেন। জানা গেছে, এই পরিবারটি মূলত চাষবাস করে জীবনযাপন করত এবং তাঁদের একটি চায়ের দোকানও ছিল। বৃহস্পতিবার সকালে একটি মাছবিক্রেতা মহিলা বকেয়া টাকা চাইতে ওই দম্পতির বাড়িতে আসেন। ডাকাডাকি করার পরেও সাড়া না পেয়ে জানলা দিয়ে উঁকি দিয়ে দেখেন, মহিলার দেহ মেঝেতে পড়ে রয়েছে। এটি দেখে তিনি চিৎকার করে ওঠেন, যা শুনে প্রতিবেশীরা ছুটে আসেন। ঘরে ঢুকে তাঁরা স্বামী-স্ত্রীর নিথর দেহ দেখতে পান। স্ত্রীর দেহ মেঝেতে এবং স্বামীর দেহ খাটের উপর ছিল। পুলিশ দ্রুত ঘটনাস্থলে পৌঁছে মৃতদেহ দুটি মাধবনগর স্বাস্থ্যকেন্দ্রে নিয়ে যায়, পরে সেগুলি ময়নাতদন্তের জন্য কাকদ্বীপে পাঠানো হবে। পুলিশ ইতিমধ্যেই আত্মীয় এবং প্রতিবেশীদের জিজ্ঞাসাবাদ শুরু করেছে, ঘটনার প্রকৃত কারণ নির্ণয়ের চেষ্টা চলছে।
মৃতের দাদা মধুসূদন কর জানিয়েছেন, রাতেও ভাইয়ের সঙ্গে স্বাভাবিক কথোপকথন হয়েছিল এবং সকালে একসঙ্গে রেশন দোকানে যাওয়ার কথা ছিল। এমন অবস্থায় এই ঘটনা কীভাবে ঘটল, তা বুঝতে পারছেন না তিনি। একইরকম উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন প্রতিবেশীরাও। পুলিশ এই ঘটনার কারণ খতিয়ে দেখতে তদন্ত শুরু করেছে। স্থানীয়রা ব্যাপারটি নিয়ে শোকাহত এবং হতবাক।