নিজস্ব সংবাদদাতা: জুনিয়র চিকিৎসকদের কর্মবিরতির জন্য রাজ্যে ২৯ জনের মৃত্যু হয়েছে বলে রাজ্যের তরফে বার বার দাবি করা হয়েছে। শুধু তাই নয়, সেই ২৯ জন রোগীর পরিবারকে দুই লক্ষ করে টাকা অনুদান দেবেন বলে রাজ্যের তরফে জানানো হয়েছে। সেই অনুদান নিতে কার্যত অস্বীকার করেছে এক মৃত রোগীর পরিবার।
বালুরঘাটে এক শিশু জুনিয়র চিকিৎসকদের আন্দোলনের জন্য মারা গিয়েছে বলে নবান্নের তরফে মারা গিয়েছে বলে অভিযোগ করে নবান্ন। বালুরঘাটের বাসিন্দা ওই শিশুর পরিবার জানিয়েছে, জুনিয়র ডাক্তারদের আন্দোলনের সঙ্গে তাঁদের বাড়ির ছেলের মৃত্যুর কোনও সম্পর্ক নেই। তাঁদের সন্তানের মৃত্যু হয়েছে চিকিৎসকদের গাফিলতির জন্য। সেই গাফিলতি ঢাকতেই পরিকল্পনা করে তালিকায় নাম ঢুকিয়েছে প্রশাসন। ওই শিশুর পরিবার মুখ্যমন্ত্রীর দুই লক্ষ টাকা অনুদান নেবে না বলে সাফ জানিয়ে দিয়েছে।
শনিবার এক সাংবাদিক বৈঠকে বালুরঘাটের শিশুর নাম ক্ষতিপূরণ প্রাপকদের তালিকায় দেখে প্রশ্ন তুলেছিলেন স্থানীয় সাংসদ তথা কেন্দ্রীয় শিক্ষা প্রতিমন্ত্রী সুকান্ত মজুমদার। প্রশ্ন করেন, আমার জেলায় কোনও মেডিক্যাল কলেজ নেই, তাহলে জুনিয়র ডাক্তারদের কর্মবিরতির জন্য সেখানে কারও মৃত্যু হতে পারে কী করে?
এরপরেই শিশুর পরিবারের তরফে জানানো হয়, গত ১২ অগাস্ট বালুরঘাটের রঘুনাথপুর এলাকায় পথদুর্ঘটনার শিকার হয় তৃতীয় শ্রেণির ছাত্র শিবম শর্মা। সঙ্গে সঙ্গে বালুরঘাট হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। তারপরেও তাকে কোনও চিকিৎসক দেখতে আসেনি। তারপরেই তাঁর সন্তানের মৃত্যু হয়। কিন্তু তাঁদের সন্তানের সঙ্গে জুনিয়র চিকিৎসকদের আন্দোলনের কোনও যোগ নেই।