বন্যা পরিস্থিতি পরিদর্শনে সাংসদ দীপক অধিকারী এবং মন্ত্রী জাভেদ খান

বন্যা পরিস্থিতি জেলা জুড়ে।

author-image
Adrita
New Update
স

নিজস্ব সংবাদদাতা, ঘাটালঃ বন্যা পরিস্থিতি গোটা পশ্চিম মেদিনীপুর জেলা জুড়ে। এই আবহেই আজ দুপুর নাগাদ ঘাটাল ব্লকের অজবনগর এলাকায় বোটে চড়ে মন্ত্রী ও প্রশাসনের আধিকারিকদের সাথে নিয়ে বন্যা পরিস্থিতি পরিদর্শন করেন তৃণমূল সাংসদ দেব। পাশাপাশি অজবনগর এলাকায় বন্যা পীড়িতদের হাতে শুকনো খাবার, জল, ত্রিপলসহ বিভিন্ন ত্রাণসামগ্রী তুলে দেন দেব ও রাজ্যের মন্ত্রী জাভেদ খান।

এ ক্ষেত্রে উল্লেখ্য যে, দেবের ত্রাণ বিলিকে কেন্দ্র করে রীতিমতো হুড়োহুড়ি পড়ে যায় বন্যা পীড়িতদের মধ্যে। বন্যা পরিস্থিতি পরিদর্শনের মাঝেই সংবাদমাধ্যমের মুখোমুখি হয়ে দেব জানান," বছরের পর বছর বন্যার সময় ঘাটালের মানুষ খুবই কষ্টে থাকে।এখনও জলে ডুবে রয়েছে বাড়ি ঘর, সেখানে বাচ্চাসহ বহু মানুষ আটকে রয়েছেন। তাদের কাছে যাতে দ্রুত খাবারসহ অন্যান্য প্রয়োজনীয় ত্রাণের সামগ্রী পাঠানো যায় সেই চেষ্টা চলছে। " 

উল্লেখ্য, রাজ্যকে না জানিয়ে ডিভিসির অতিরিক্ত জল ছাড়াকে নিয়ে কেন্দ্র রাজ্যের মধ্যে সংঘাতের আবহ তৈরি হয়েছে। ঘাটালসহ আরও কয়েকটি জেলায় বন্যা পরিস্থিতি পরিদর্শনে গিয়ে আগেই মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় জানিয়ে দিয়েছিলেন ডিভিসির সাথে সম্পর্ক ছিন্ন করার কথা। শুধু তাইই নয়, ডিভিসির বিরুদ্ধে অভিযোগ করে ইতিমধ্যে প্রধানমন্ত্রীকে চিঠি দিয়েছিলেন মুখ্যমন্ত্রী। সেই চিঠির পাল্টা রাজ্যকে চিঠি দিয়ে ব্যাখ্যা দেয় কেন্দ্রীয় জলসম্পদ উন্নয়ন মন্ত্রণালয়। কেন্দ্রের পাঠানো চিঠিতে সন্তুষ্ট না হয়ে মুখ্যমন্ত্রী আজ ফের প্রধানমন্ত্রীকে চিঠি দিয়েছেন বলে জানা গিয়েছে।

এবিষয়ে দেবকে প্রশ্ন করা হলে দেব মুখ্যমন্ত্রীর পাঠানো চিঠির প্রসঙ্গ স্বীকার করে বলেন," দিদির সাথে কথা হয়েছে। এ নিয়ে দিদি নিজেই একটা চিঠি পাঠিয়েছেন, এটাই আমাদের কাছে সবথেকে বড়। " পাশাপাশি দেব এও বলেন," আমার মনে হয় এখন কেন্দ্র-রাজ্য ঝামেলা করে লাভ নেই। এখন যেটা দরকার মানুষকে কিভাবে আমরা বাঁচাতে পারি, তার চেষ্টা করা। মানুষ যে কষ্ঠ যন্ত্রণার মধ্য আছে তা থেকে আমরা তাদেরকে কতটা বের করতে পারি সেটাই আমাদের লক্ষ্য হওয়া উচিত। " 

সূত্র মারফত জানা গিয়েছে যে, দেবের সাথে আজ ঘাটালে বন্যা পরিস্থিতি পরিদর্শনে গিয়েছিলেন রাজ্য সরকারের দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা মন্ত্রী জাভেদ খান। তিনি বলেন," যত পরিমাণ বোটের দরকার আমরা তার ব্যবস্থা করেছি। এখানে দেব আর আমি এসেছি, আমার আরও আধিকারিকরাও সবাই এখানে আসছেন। যা কিছু প্রয়োজন আছে মানুষের সেটা পূরণ করার চেষ্টা করা হবে। তবে এতো বড় একটা এরিয়া যেখানে সব গ্রাম পঞ্চায়েত জলের তলায় সেই জায়গায় আমরা রাতারাতি কিছু করতে পারবোনা। তবে আমরা মানুষের পাশে দাঁড়ানের সবরকম চেষ্টা করে যাচ্ছি। " 

সূত্র মারফত আরও জানা গিয়েছে যে, বন্যা পরিদর্শনের পর ঘাটালে মহকুমাশাসকের দফতরে একটি প্রশাসনিক বৈঠক করেছেন দেব, মন্ত্রী জাভেদ খান, মহকুমা ও জেলা প্রশাসনিক আধিকারিকরা। সেই বৈঠক সম্পর্কে মন্ত্রী বলেন," বৈঠকে সবকিছু নিয়ে আলোচনা হয়েছে। যা কিছু সমস্যা আছে তা কি করে ওভারকাম করা যায়। এছাড়াও ফিউচার প্লানিং নিয়েও আলোচনা করা হয়েছে। ''