নিজস্ব সংবাদদাতা: বন্ধ স্যালাইন কারখানা খোলার দাবিতে আন্দোলনে নামলেন কাজ হারানো শ্রমিকরা। কারখানা চালু করে শ্রমিকদের কাজে ফেরানোর জন্য চোপড়ার বিডিওর কাছে দাবি জানিয়েছেন। বিডিওর মাধ্যমে রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী এবং উত্তর দিনাজপুর জেলা শাসকের কাছে একই দাবি জানিয়েছেন।
উল্লেখ্য, উত্তর দিনাজপুরের চোপড়া ব্লকের সোনাপুরে পশ্চিমবঙ্গ ফার্মাসিটিক্যাল নামে একটি স্যালাইন কারখানা তৈরি হয়েছিল। এখানকার তৈরি স্যালাইন দেশের বিভিন্ন রাজ্যের হাসপাতালে সরবরাহ হত। গত বছর এই কারখানার তৈরি স্যালাইন ব্যবহার করে কর্ণাটক রাজ্যের চার প্রসূতির মৃত্যু হয়েছিল।
কর্ণাটক সরকার পশ্চিমবঙ্গ ফার্মাসিটিক্যালকে ব্ল্যাক লিস্টেড করে সরকারি আধিকারিকরা সোনাপুরে পৌঁছে ঘটনার তদন্ত করেন। প্রসূতির মৃত্যু হওয়ায় গত ১১ ডিসেম্বর কারখানাটি বন্ধ করার নোটস টাঙিয়ে দেওয়া হয়। কর্ণাটক সরকার পশ্চিমবঙ্গ ফার্মাসিটিক্যালকে ব্ল্যাক লিস্টেড করলেও, পশ্চিমবঙ্গে বহাল তবিয়তে এই স্যালাইন ব্যবহার হয়ে চলেছিল। গত জানুয়ারি মাসে মেদিনীপুর মেডিক্যাল কলেজে এই রিঙ্গার ল্যাক্টেট ব্যবহার করে এক প্রসূতির মৃত্যু এবং তিন প্রসূতি অসুস্থ হওয়ার পর রাজ্য জুড়ে তোলপাড় পড়ে যায়। চাপে পড়ে পশ্চিমবঙ্গ সরকার এই স্যালাইন কারখানাকে ব্ল্যাক লিস্টেড ঘোষনা করে।ঘটনার সিআইডি তদন্তের নির্দেশ দেওয়া হয়। সিআইডি তদন্ত শুরু করেছে।
পশ্চিমবঙ্গ ফার্মাসিটিক্যাল স্যালাইন কারখানায় প্রায় তিনশ শ্রমিক কাজ করত। প্রত্যেকেই শাসক দল তৃণমূল কংগ্রেসের শ্রমিক সংগঠন আই এনটিটিইউসি ভুক্ত ছিলেন।কারখানায় উৎপাদন বন্ধ হওয়ায় প্রায় দুই মাস যাবত বেতন বন্ধ করে দেওয়ায় হয়েছে। এবার বন্ধ কারখানা খোলার দাবিতে আন্দোলনে নামল শাসক দলের শ্রমিক সংগঠন। শুক্রবার চোপড়া ব্লক সংগঠনের সভাপতি সিরাজুল হক শ্রমিকদের নিয়ে চোপড়া বিডিও অফিসে হাজির হন। আইনি জটিলতা কাটিয়ে দ্রুত কারখানা খোলার জন্য লিখিত দাবি চোপড়া বিডিও কাছে করেন। বিডিও মাধ্যমে রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী,চোপড়া বিধায়ক এবং উত্তর দিনাজপুর জেলা শাসককে পাঠানো হয়েছে বলে ব্লক সভাপতি সিরাজুল ইসলাম জানিয়েছেন। এই কারখানা বন্ধ হলে তিন শ্রমিকের প্রায় দেড় থেকে দুই হাজার মানুষ না খেতে পেয়ে মৃত্যুর কোলে ঢোলে পড়তে বাধ্য হবে। কারখানার মালিকদের কাছে কারখানা খোলার দাবি জানানো হয়েছে।