ছেলের প্রিয় হলুদ পাঞ্জাবী আঁকড়ে ধরে আত্মঘাতী মা!

১০ মাস কেটে গেলেও মৃত ছেলের শোকে কাতর রীতা দেবী। সরস্বতী পুজোর সারাটাদিন দোকানে বসে ভেবেছিলেন ছেলের কথা। তারপর বাড়ি ফিরেই যা ঘটালেন তা দেখে শোকের ছায়া নেমে এসেছে অশোকনগরে।

author-image
Shroddha Bhattacharyya
New Update
suicidee.jpg

নিজস্ব সংবাদদাতা: একমাত্র ছেলে আজ আর নেই। সরস্বতী পুজোয় সবাই যখন হইহই করে এদিক ওদিক ঘুরতে ব্যস্ত তখন ছেলের ছবিতে ঝুলছে মালা। ১০টা মাস কেটে গেছে। কিন্তু মায়ের মন তো, কিছুতেই মেনে নিতে পারছিলেন না এই ঘটনা। তাই ছেলের হলুদ পাঞ্জাবী জড়িয়ে ধরে আত্মঘাতী হলেন। এই ঘটনায় গোটা পরিবারে নেমে এসেছে শোকের ছায়া। মৃতার নাম রীতা সজ্জল।  মর্মান্তিক এই ঘটনাটি ঘটেছে অশোকনগর থানার গোলবাজার এলাকায়। স্বামী পলাশ সজ্জলের গোলবাজারে যে সেলুন রয়েছে সেখানেই রীতাদেবী শুকনো খাবারের দোকান চালাতেন।
সূত্রের খবর, রীতাদেবী ও সজ্জল বাবুর একমাত্র ছেলে মাত্র বাইশ বছর বয়সে বাইক দুর্ঘটনায় প্রাণ হারান। ১০ মাস পরও সেই শোক কাটিয়ে উঠতে পারেননি রীতা দেবী। এর আগেও দু-বার আত্মহননের চেষ্টা করেন রীতাদেবী। কিন্তু স্বামীর তৎপরতায় প্রাণে বেঁচে যান তিনি। কিন্তু এবার আর শেষ রক্ষা হলোনা। সরস্বতী পুজোর দিন ছেলের প্রিয় হলুদ পাঞ্জাবী জড়িয়ে ধরে আত্মঘাতী হন রীতা দেবী।
সন্ধের পর দোকান বন্ধ করে বাড়িতে আসেন তিনি। পলাশবাবু রাতে বাড়িতে ফিরে অনেক ডাকাডাকি করেও সাড়া না পেয়ে রান্নাঘরে ঢুকে সিলিংয়ের সঙ্গে গলায় ফাঁস দিয়ে স্ত্রীর ঝুলন্ত দেহ দেখতে পান। এলাকাবাসীরা জানিয়েছে, মৃতার একহাতে ছেলের ছবি আর শরীরে ছেলের পছন্দের হলুদ পাঞ্জাবি জড়ানো ছিল।

 

v

 

স্ব

 

স

স