নিজস্ব সংবাদদাতা : শুক্রবারের মধ্যে দক্ষিণবঙ্গের বাকি অংশে ঢুকে পড়ার সম্ভাবনা রয়েছে বর্ষার। এর পাশাপাশি আবার বাড়তে পারে বজ্রবিদ্যুৎসহ বৃষ্টির পরিমাণ। কলকাতায় আজও বৃষ্টি হতে পারে। আজ ও আগামীকাল দক্ষিণবঙ্গের বেশিরভাগ জেলাতেই বিক্ষিপ্তভাবে ভারী বৃষ্টি হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। বৃষ্টি বেশি হতে পারে পূর্ব ও পশ্চিম মেদিনীপুর, ঝাড়গ্রাম এবং বাঁকুড়া এই চার জেলায়। এর ফলস্বরূপ কলকাতাসহ দক্ষিণবঙ্গের বাকি জেলাগুলিতে আগামী কয়েকদিনে অন্তত ৫ ডিগ্রি নেমে যেতে পারে তাপমাত্রা। উত্তরবঙ্গের এই পাঁচ জেলায় আজও ভারী থেকে অতি ভারী বৃষ্টি হতে পারে বলে জানা গেছে। চরম বৃষ্টি হতে পারে কোচবিহার ও আলিপুরদুয়ারে। নিচু এলাকা প্লাবিত হয়ে যাওয়ার আশঙ্কা বেশি রয়েছে। তিস্তা, তোর্সা, জলঢাকাসহ উত্তরবঙ্গের নদীগুলির জলস্তর বিপদসীমা ছুঁয়ে ফেলার আশঙ্কা রয়েছে বলে জানা গেছে। তবে কাল থেকে উত্তরবঙ্গে বৃষ্টির পরিমাণ কমবে। এদিকে আজ অর্থাৎ বৃহস্পতিবার দক্ষিণবঙ্গের বেশিরভাগ জেলাতেই বিক্ষিপ্তভাবে ভারী বৃষ্টি হতে পারে বলে জানা গেছে।
১৯ জুন বর্ষা ঢুকে পড়েছে কলকাতাসহ দক্ষিণবঙ্গের বেশিরভাগ অংশে। বৃহস্পতিবারের মধ্যে দক্ষিণবঙ্গের বাকি অংশেও ঢুকে পড়ার সম্ভাবনা রয়েছে মৌসুমী বায়ুর। ১২ জুন উত্তরবঙ্গে বর্ষা প্রবেশের পর মালদার উপরে অবস্থান করছিল ১৮ জুন পর্যন্ত। উত্তরবঙ্গে ৫ দিন পরে বর্ষার প্রবেশ ঘটে বলে জানা যায়। দক্ষিণবঙ্গের মধ্যে কলকাতায় বর্ষা প্রবেশের স্বাভাবিক দিন হল ১১ জুন। তার ৮ দিন পর অবশেষে ১৯ জুন কলকাতায় বর্ষা প্রবেশ করে। দক্ষিণবঙ্গের আকাশে মেঘ জমে থাকায় রাতের তাপমাত্রা স্বাভাবিকের চেয়ে একটু উপরে থাকছে। আগামী ৪৮ ঘন্টায় বৃষ্টি হলে তাপমাত্রা আরও কমবে বলে অনুমান করছেন আবহাওয়াবিদরা। কমপক্ষে ৩ থেকে ৪ ডিগ্রি পর্যন্ত পারদ নেমে যেতে পারে। তবে বৃষ্টি হলেও দক্ষিণবঙ্গে বজায় থাকবে আর্দ্রতাজনিত অস্বস্তি। ফলে ভ্যাপসা গরম থেকে এখনই রেহাই পাবেন না। কলকাতা শহরে বুধবার সকালে সর্বনিম্ন তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয় ২৯.৭ ডিগ্রি। মঙ্গলবার সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ছিল ৩৪.৯ ডিগ্রি। বাতাসে আপেক্ষিক আর্দ্রতার পরিমাণ ৬৬ থেকে ৮৯ শতাংশ ছিল। বৃষ্টি হয়েছে সামান্য যার পরিমাণ ১.৮ মিলিমিটার।
এর পাশাপাশি কয়েকদিন ধরেই দেখা যাচ্ছে যে অল্প বৃষ্টি হচ্ছে আর তারপরেই আবার আগের মতো গরম। ফলে অল্প স্বস্তি মিললেও আবার আগের মতো হয়ে যাচ্ছে সাধারণ মানুষের অবস্থা। যদিও এবার বর্ষা আসলে পরিস্থিতি আগের তুলনায় একটু হলেও পাল্টাবে বলে অনুমান করা হচ্ছে। গরম কমবে আর সেই সঙ্গে বৃষ্টিতে শান্তিতে থাকবে মানুষ।