নিজস্ব প্রতিনিধি, পশ্চিম মেদিনীপুর: বালেশ্বরের ট্রেন দুর্ঘটনায় (Balasore Train Accident) পা কাটা যাওয়ার পর জ্ঞান হারান দক্ষিণ চব্বিশ পরগনার বাসন্তী থানার ছড়ানেখালি গ্রামের বাসিন্দা রবীন নাইয়া। মৃত ভেবে তাঁকে রেললাইনের উপর ফেলেই নাকি চলে যান উদ্ধারকারীরা।
জ্ঞান ফিরতে চোখ খুলে আধো আলোয় দেখতে পান, চার দিকে ধ্বংসস্তূপ। দূরে তখনও চলছে উদ্ধারকাজ। কাউকে ডাকার ক্ষমতা ছিল না। হঠাতই পাশ দিয়ে একজনকে যেতে দেখে তাঁর পা জড়িয়ে ধরে রবীন, কোনও রকমে বলে ওঠেন, ‘আমাকে বাঁচাও’। উদ্ধারকারী দলের মধ্যে শোরগোল পড়ে যায়, সকলেই বলে ওঠেন, ‘আরে এ তো বেঁচে রয়েছে!’ এরপর দ্রুত উদ্ধার করে তাঁকে বালেশ্বর হাসপাতালে পাঠানো হয়।
বর্তমানে রবীন মেদিনীপুর মেডিক্যালে চিকিৎসাধীন। বছর ৪২-এর রবীন নাইয়ারা গ্রামের মোট ১০ জন বীজ রুইতে যাচ্ছিলেন অন্ধ্রপ্রদেশে। তার মধ্যে একই পরিবারের পাঁচ জন ছিলেন। বাকিরা পাড়ার। এই দলের মোট ৮ জনের মৃত্যু হয়েছে। রবীনের দিদি রেখা মণ্ডল বলেন, "আমাদের পাড়ার গায়েনদের একই পরিবারের ৩ ভাই মারা গিয়েছে। গ্রাম জুড়ে শুধু হাহাকার। আমার ভাই কপাল জোড়ে বেঁচে গিয়েছে।" এদিকে উড়িষ্যার বালেশ্বরে মর্মান্তিক ট্রেন দুর্ঘটনায় মেদিনীপুর মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতালে ভর্তি আহত মানুষজনদের সাথে দেখা করলেন মেদিনীপুর বিধানসভার জন প্রিয় বিধায়কা জুন মালিয়া।