নিজস্ব প্রতিবেদন : মিঠুন চক্রবর্তীর মৃত্যু একটি ভয়াবহ ঘটনা, যা দক্ষিণ দিনাজপুর জেলার গঙ্গারামপুর মহকুমার বুনিয়াদপুর পৌরসভার ১৪ নম্বর ওয়ার্ডের ধুমসা দীঘি এলাকা থেকে ঘটেছে। তিনি একজন ব্যবসায়ী ছিলেন এবং তাঁর বেশ বড় ব্যবসা ছিল।
ঘটনাটি সোমবার ভোরে ঘটে। ওইদিন রাতে তাঁর স্ত্রী দুর্গাপূজা উপলক্ষে বাবার বাড়িতে ছিলেন, তাই মিঠুন একাই ঘরে ঘুমাচ্ছিলেন। ভোর তিনটার দিকে, তাঁর ঘর থেকে বিকট আওয়াজ শোনা যায়, যা মিঠুনের মা ও প্রতিবেশীদের ঘুম ভেঙে দেয়। প্রতিবেশীরা ছুটে এসে দেখেন, মিঠুনের দেহ মেঝেতে পড়ে আছে। তাঁর হাত-পা বাঁধা এবং মুখে সেলোটেপ ছিল। প্রাথমিক তদন্ত অনুযায়ী, মনে হচ্ছে তাঁকে শ্বাসরোধ করে হত্যা করা হয়েছে।
ঘটনার সময় আশেপাশে একটি সাদা গাড়ি দাঁড়িয়ে ছিল, যা প্রত্যক্ষদর্শীরা দেখেছে। পুলিশ জানিয়েছে, ঘরের আসবাবপত্রও তছনছ করা হয়েছে। এই ঘটনার খবর পেতেই গঙ্গারামপুর মহকুমার এসডিপিও এবং বংশীহারি থানার আইসি ঘটনাস্থলে আসেন। মিঠুনের দেহ হাসপাতালে নিয়ে গেলে চিকিৎসকরা তাঁকে মৃত ঘোষণা করেন। এলাকাবাসী দ্রুত তদন্ত ও দোষীদের গ্রেফতারের দাবি জানাচ্ছেন। পুলিশ ঘটনার সব দিক থেকে তদন্ত শুরু করেছে।