হরি ঘোষ, দুর্গাপুর : পঞ্চায়েতে নির্বাচনে নির্দল প্রার্থী হওয়াটা ছিল অপরাধ, যার জন্য তার নাবালিকা মেয়েকে অপহরণের অভিযোগ শাসক দলের বিরুদ্ধে। দুর্গাপুরে সিটিসেন্টারে নাবালিকার পরিবারকে নিয়ে বাউরি সমাজের বিক্ষোভ। দুর্গাপুরের পান্ডবেশ্বর বিধানসভা কেন্দ্রের মধ্যে রয়েছে নবগ্রাম পঞ্চায়েত। অভিযোগ শুধুমাত্র নির্দল প্রার্থী হওয়ার জন্য শাসক দলের স্থানীয় কর্মী নেতারা তার নাবালিকা মেয়েকে অপহরণ করেছে।পান্ডবেশ্বর থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করার পরও দুষ্কৃতীরা গ্রেপ্তার হয়নি, উল্টে প্রায় ১০৮ দিন হয়ে গেলেও মেয়ের খোঁজ মেলেনি এখনো। রাজ্য পুলিশের ওপর ভরসা না রেখে এবার সিবিআই তদন্তের দাবিতে সরব হল নাবালিকার পরিবার। দিন কয়েক আগে পান্ডবেশ্বরের হরিপুরে পশ্চিমবঙ্গ বাউরি সমাজ নাবালিকার পরিবারকে নিয়ে অনশনে বসে, সেবার পুলিশ কথা দিয়েছিল খুব তাড়াতাড়ি উদ্ধার করা হবে ছোট্ট তিথিকে, কিন্তু এখনো উদ্ধার না হওয়ায় আজ দুর্গাপুরের সিটি সেন্টারে দুর্গাপুর নগর নিগমের সামনে এসে বিক্ষোভ প্রদর্শন করতে এলে পুলিশ আটকে দেয় তাদেরকে, ফের আশ্বাস দেয়। ইতিমধ্যেই সিআইডিকে এই তদন্তের ভার দেওয়া হয়েছে, এরপর শান্ত হয় আন্দোলনরত বাউরি সমাজ। তবে সিবিআই তদন্তের দাবিতে তারা প্রয়োজনে রাজ্যপালের দ্বারস্থ হবেন বলেও জানায়। এইদিকে শিল্পা মন্ডল নামে এক মহিলা বিজেপির মনোনীত নির্দল প্রার্থী হয়ে ভোটে লড়াই করেছে বলে দাবি করেন দুর্গাপুর পশ্চিমের বিজেপি বিধায়ক লক্ষণ চন্দ্র ঘোড়ুই, যদি পুলিশ সদর্থক ভূমিকা না নেয় প্রয়োজনে বিজেপি ধারাবাহিক আন্দোলন শুরু করবে বলে হুঁশিয়ারি দিয়েছে। দলের বিরুদ্ধে ওঠা যাবতীয় অভিযোগ অস্বীকার করেছে তৃণমূল নেতৃত্ব। পশ্চিমবঙ্গ বাউরি সমাজের পক্ষ থেকে আজ সাফ জানিয়ে দেওয়া হয়েছে, যদি এরপরেও সিআইডি ব্যর্থ হয় তাহলে সিবিআই তদন্তের দাবিতে তারা প্রয়োজনে রাজ্যপালের দ্বারস্থ হবেন।আজকে বাউরি সমাজের এই আন্দোলনকে ঘিরে কড়া পুলিশি ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছিল, অপ্রীতিকর ঘটনা এড়াতে ছিল দুর্গাপুর থানার বিশাল পুলিশ বাহিনী।