নিজস্ব প্রতিনিধি, পশ্চিম মেদিনীপুর: ৮ মার্চ দাসপুরের চাঁদপুরে চন্দ্রেশ্বর নদী খনন প্রতিবাদ কমিটির সভায় ঘাটাল মাস্টার প্ল্যানে দাসপুরে নতুন করে খাল খননের বিরোধিতা করে সরাসরি রাজ্যের সেচ ও জল সম্পদ উন্নয়ন মন্ত্রী ডঃ মানস রঞ্জন ভুঁইয়ার কাছা খুলে ছোটানোর দাবি করেছিলেন দাসপুরের স্বপন কর। তাই সেই স্বপনের বাড়িতেই ডঃ মানস ভুঁইয়া প্রতিনিধি দল মারফত গোলাপ পাঠালেন। দাসপুরের রাজনীতিতে এ একেবারে অন্য ছবি।
রবিবারের বিকেলে দাসপুরের চাঁদপুরে স্বপন করের বাড়িতে মন্ত্রী ডঃ মানস ভূঁইয়ার পাঠানো সেই গোলাপ নিয়ে পৌঁছে গেলেন তৃণমূলের ঘাটাল সাংগঠনিক জেলা সভাপতি তথা পশ্চিম মেদিনীপুর জেলা পরিষদের কৃষি, সেচ ও সমবায় কর্মাধ্যক্ষ আশীষ হুদাইত। লাল টুকটুকে গোলাপ তুলে দিলেন স্বপনবাবুর হাতে। দীর্ঘ প্রায় ১ ঘন্টা ধরে আশীষবাবু তার সাথে কথা বললেন। সাথে ছিলেন স্থানীয় নেতৃত্বরাও। দাসপুরে খাল খননের ক্ষতি, ভয়, উপকার সব নিয়ে কথা বললেন তিনি। ঘাটাল মাস্টার প্ল্যানে দাসপুরে চন্দ্রেশ্বর খাল খনন নিয়ে বে শকিছু পাল্টা প্রশ্ন করেন খাল খননের বিরোধীতাকারী স্বপন কর। সেইসব প্রশ্নের গুছিয়ে উত্তর দিতে দেখা যায় জেলা সভাপতি তথা জেলা পরিষদের কৃষি, সেচ ও সমবায় কর্মাধ্যক্ষকে। তবে স্বপন করের সাফ কথা ঘাটাল মাস্টার প্ল্যানে এলাকার ক্ষতি না হলে তিনি উন্নয়নের আর ন্যায়ের পক্ষেই থাকবেন। তবে তাদের চন্দ্রেশ্বর নদী খনন প্রতিবাদ কমিটির সাথে বসতে হবে। ঘাটাল মাস্টার প্ল্যান নিয়ে দাসপুরে নদী খননের প্রক্রিয়া শুরু হওয়া থেকে এই প্রতিবাদী কমিটির উত্থান হয়েছে। তাহলে কেন এখনও প্রশাসন বা কেউ সেই কমিটির সাথে আলোচনায় বসছে না সেটাই তার প্রশ্ন। কমিটির সাথে আলোচনায় বসে তাদেরও ঘাটাল মাস্টার প্ল্যানে দাসপুরে খাল খনন নিয়ে বিভ্রান্তি দুর করা হবে বলে জানিয়ে দেন আশীষ হুদাইত। খুব শীঘ্রই প্রতিবাদ কমিটির মুখোমুখি হবেন আশীষ হুদাইত। তবে স্বপনবাবুর কাছে আশীষবাবুর আবদার ঘাটাল মাস্টার প্ল্যান নিয়ে গান লিখলে তিনি গান গাইতে হবে তাকে৷ এই স্বপনই এক কালে তৃণমূলের হয়ে একের পর এক গান গেয়েছিলেন। আলোচনার শেষে স্বপনকে এক কলি উন্নয়নের গান গাইতেও দেখা শোনা যায়। ঘাটাল মাস্টার প্ল্যান রূপায়নে ঘাটালবাসী তথা সাধারণ মানুষের সাহায্য লাগবে তা নাহলে প্রকল্প বাস্তবায়ন সম্ভব নয়, ঘাটালে একাধিক বার সাব কমিটির মিটিং থেকে স্পষ্টই জানিয়ে ছিলেন ঘাটালের সাংসদ দীপক অধিকারী ওরফে অভিনেতা দেব। প্রয়োজনে মাস্টার প্ল্যান নিয়ে যাদের মনে দুঃশ্চিন্তা বা সংশয় থাকবে তাদের বাড়ি বাড়ি গিয়ে তাদের বোঝানোর কাজ করবে সাব কমিটির সদস্যরা এমনটাই বার্তা ছিল দেবের। আর দেবের সেই নির্দেশের প্রতিফলন দাসপুরে খান খননের বিরোধীতা করা ব্যক্তির বাড়িতে সাক্ষাৎ। এমনকি বিরোধীতার জন্য গোলাপ ফুল দিয়ে শুভেচ্ছা জানানোর ঘটনা অভিনব এবং নজিরবিহীন বলে মনে করছে বিভিন্ন মহল।