নিজস্ব সংবাদদাতাঃ আবারও ইস্যু সেই মণিপুর (Manipur)। ফের একবার প্রতিবাদে সরব হল মহিলা তৃণমূল (TMC) নেতৃত্ব। জানা গিয়েছে, আজ শনিবার মণিপুরে মহিলাদের উপর অত্যাচারের প্রতিবাদে শিলিগুড়িতে তৃণমূল মহিলা কংগ্রেস বিক্ষোভে সামিল হল। মণিপুরে মহিলাদের উপর অত্যাচারের প্রতিবাদে শিলিগুড়িতে তৃণমূলের এই মিছিলের নেতৃত্ব দেন দলীয় নেত্রী চন্দ্রিমা ভট্টাচার্য (Chandrima Bhattacharya)।
এদিন তিনি বলেন, "মণিপুরের মহিলারা যে পোশাক পরেন, আমাদের এই পোশাকের সঙ্গে অনেকটাই মিল রয়েছে। আজ, আমরা মণিপুরের মহিলাদের প্রতি সংহতি প্রকাশ করছি, যারা নৃশংসভাবে আক্রমণের শিকার হয়েছেন। আমরা প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর কাছে ব্যবস্থা নেওয়ার দাবি জানাচ্ছি। এই ইস্যু রাজনীতিকরণের বিষয় নয়। প্রধানমন্ত্রী বলছেন যে এটা নাকি নতুন ভারত, এটাই কি নতুন ভারত যেখানে নারীদের ওপর হামলা হচ্ছে।“
এদিকে মণিপুরের সর্বশেষ হিংসায় গতকাল শুক্রবার ১৮ আগস্ট তাংখুল নাগা অধ্যুষিত উখরুল জেলার একটি গ্রামে তিনজন নিহত হয়েছেন। পুলিশ জানিয়েছে, ভোর সাড়ে চারটে নাগাদ ঘটনাটি ঘটে থোয়াই কুকি গ্রামে। নিহতরা হলেন থাংখোকাই হাওকিপ (৩৫), জামখোগিন হাওকিপ (২৬) ও হোলেনসন বাইট (২৪)। এহেন ঘটনাকে ঘিরে নতুন করে রাজ্যের মানুষের মধ্যে ভয়ের সৃষ্টি হয়েছে।
থোয়াই কুকি গ্রামটি উখরুল পুলিশের আওতাধীন, যেখানে তাংখুল নাগা জাতিগত গোষ্ঠী সংখ্যাগরিষ্ঠ। যদিও গ্রামটি পার্শ্ববর্তী মেইতাই অধ্যুষিত ইম্ফল পূর্ব জেলার সীমান্তে অবস্থিত নয়, তবে এটি ও থেকে খুব বেশি দূরে নয়। ইম্ফল পূর্বের ইংগানপোকপি, যার চারপাশে প্রচুর অস্থিরতা এবং গুলিবর্ষণের ঘটনা ঘটেছে।
স্থানীয় বাসিন্দাদের মতে, নিহত তিনজন রাতে গ্রামের নিরাপত্তার দায়িত্বে ছিলেন এবং গ্রামের বাইরে সম্প্রদায়ের দ্বারা নির্মিত বাঙ্কারগুলিতে নিযুক্ত ছিলেন।
উখরুলের পুলিশ সুপার (এসপি) নিংশাম ওয়াসুম বলেন, "ঘটনাটি রাজ্যে চলমান জাতিগত সমস্যার সাথে সম্পর্কিত। কিছু সশস্ত্র দুষ্কৃতী এলাকায় প্রবেশ করে এবং গ্রামের পাহারারত তিনজনকে গুলি করে। এলাকায় গোলাগুলি থেমে গেছে এবং সেনাবাহিনী ও পুলিশসহ নিরাপত্তা বাহিনী সেখানে পৌঁছেছে।“
তিনি বলেন, যেহেতু গ্রামটি একটি প্রত্যন্ত স্থানে রয়েছে, তাই নিকটতম নিরাপত্তা চৌকিটি প্রায় ৩ কিলোমিটার দূরে, যার কারণে সেই সময় নিরাপত্তা কর্মীরা উপস্থিত ছিলেন না।
তিনি বলেন, 'ঘটনাটি ঘটেছে ভোরে। এই ঘটনার পিছনে উপত্যকা ভিত্তিক বিদ্রোহী গোষ্ঠীগুলির হাত রয়েছে বলে সন্দেহ করা হচ্ছে। এর পরেই নিরাপত্তা বাহিনী ওই এলাকার নিয়ন্ত্রণ নিয়েছে এবং এলাকার পরিস্থিতি খতিয়ে দেখছে।‘