নিজস্ব সংবাদদাতা, ঝাড়গ্রামঃ জামবনির খাটখুরা এলাকায় দুই যুবককে চোর সন্দেহে গণপিটুনি। নয় দিন চিকিৎসার পর এক বন্ধুর মৃত্যু হয়েছে। অপর বন্ধু মৃত্যুর সঙ্গে পাঞ্জা লড়ছেন ঝাড়গ্রাম হাসপাতালে।
মৃতের পরিবার এর দাবি গত ২২ মে সৌরভ তার মায়ের স্কুটি নিয়ে এক বন্ধুর সঙ্গে জামবনি থানার অন্তর্গত খাটখুরা এলাকায় ঘুরতে গিয়েছিলেন। বিকেলে খাটখুরা এলাকার এক রাস্তা ধরে ফিরছিলেন তেরা। আচমকাই চোর সন্দেহে তাদের উপর চড়াও হয় কয়েকজন গ্রামবাসী। বেধড়ক মারধর করা হয় সৌরভ এবং তার বন্ধুকে।
স্থানীয় সূত্রে খবর, খাটখুরা এলাকায় একটি রাস্তা নির্মাণের কাজ চলছিল। সেখানে ঠিকাদারি সংস্থার একটি গাড়ি রাখা ছিল। ওই গাড়ি থেকেই জিনিসপত্র চুরির অভিযোগ ওঠে। চোর সন্দেহে গণপিটুনি দেওয়া হয় তাদেরকে। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পৌঁছায় জামবনি থানার পুলিশ। দু’জনকে উদ্ধার করে চিকিৎসার জন্য ঝাড়গ্রাম সরকারি মেডিক্যাল কলেজে নিয়ে যায় হয়।
হাসপাতালে নয় দিন চিকিৎসার পর মৃত্যু হয়েছে সৌরভের। মৃতের বাবা অবনী সাউ পেশায় টোটোচালক। ছেলের মৃত্যু নিয়ে তিনি বলেন, '' এক বন্ধুর সঙ্গে মায়ের স্কুটি নিয়ে বেড়াতে গিয়েছিল সৌরভ। এলাকার মানুষজন চোর সন্দেহে আমার ছেলে ও তার বন্ধুকে মারধর করে। পরে আমরা বিষয়টি জামবনি থানা মারফত জানতে পেরে হাসপাতালে আসি। এখানে এসে দেখি আমার ছেলে ও তার বন্ধু ভর্তি রয়েছে। আজ রবিবার সকালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় আমার ছেলের মৃত্যু হয়েছে। ''
তিনি আরও বলেন যে, '' চোর সন্দেহে কাউকে এভাবে মারা ঠিক নয়। তার জন্য তো পুলিশ-প্রশাসন রয়েছে। যারা এই ঘটনা ঘটিয়েছে, তাদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি জানাচ্ছি আমরা। ''
সূত্র মারফত জানা গিয়েছে যে, এই ঘটনায় এখনও পর্যন্ত কাউকে গ্রেফতার করা হয়নি। ঝাড়গ্রাম জেলা পুলিশের এক আধিকারিক জানিয়েছেন '' ২২ তারিখের ওই ঘটনায় একটি মামলা রুজু হয়েছে। ঘটনার তদন্ত চলছে। ''