নিজস্ব সংবাদদাতা: প্রশাসনের নজর এড়িয়ে রায়দিঘিতে নির্বিচারে কাটা হচ্ছে ম্যানগ্রোভ। সংকটের মুখে উপকূলের বাসিন্দাদের জনজীবন। আমফানের পর ইয়াসের ঝাপটায় সুন্দরবনের ছবিটা ছিল ভয়াবহ। লন্ডভন্ড হয়ে গিয়েছিল গ্রামের পর গ্রাম। পাটে পাটে ভেঙে পড়েছিল কাঁচা বাড়ি থেকে বড় বড় গাছ। মাটির বাঁধ ভেঙে এবং উপচে নোনা জল ঢুকেছিল লোকালয়ে। নষ্ট হয়েছিল ম্যানগ্রোভের জঙ্গল। ফলে আরও বেশী করে গাছ ও ম্যানগ্রোভ লাগানোর জন্য বনদপ্তর সহ জেলা প্রশাসনকে নির্দেশ দিয়েছিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় (Mamata Banerjee)।
অভিযোগ, গাছ ও ম্যানগ্রোভ বসানোর কাজ চলার মধ্যেই গত কয়েকদিন ধরে রায়দিঘির নগেন্দ্রপুর গ্রাম পঞ্চায়েতের পূর্ব শ্রীধরপুর এলাকার ঠাকুরান নদীর চরে বিঘের পর বিঘে ম্যানগ্রোভের জঙ্গল কাটার অভিযোগ উঠল শাসকদল ঘনিষ্ঠ এক শ্রেণীর অসাধু ব্যবসায়ীর বিরুদ্ধে। জঙ্গল সাফ করার পর সেই জমিতে মাছের ভেড়ি তৈরির পাশাপাশি বেআইনি নির্মাণও গড়ে তোলা বা চড়া দামে বেআইনিভাবে ওই জায়গা বিক্রি করারও পরিকল্পনা থাকতে পারে বলে দাবি এলাকার বাসিন্দাদের। বাইন, তরান, গরান, বানী, আল, কেওড়া, বাবলা ও গেঁয়ো প্রজাতির দামি ম্যানগ্রোভ নির্বিচারে কাটার বিষয়টি নজরে আসার পর স্থানীয় বাসিন্দাদের পক্ষ থেকে বন দফতরের নলগড়া বিট অফিসের পাশাপাশি স্থানীয় পঞ্চায়েত এবং ব্লক প্রশাসনের নজরে আনা হলেও কোনও সুরাহা মেলেনি বলে অভিযোগ। তবে ঘটনার কথা স্বীকার করে নিয়েছেন বিজেপির পঞ্চায়েত সদস্য যমুনা গায়েন। খতিয়ে দেখে যথাযথ ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলে জানিয়েছেন মথুরাপুর দু'নম্বর ব্লকের বিডিও নাজির হোসেন।