নিজস্ব সংবাদদাতাঃ সরকারি দফতরে গিয়ে বহুবার কড়া নেড়েছেন, কিন্তু উপর মহলে সেই আওয়াজ পৌঁছায়নি। কোনও ফল মেলেনি। খালি হাতেই ফিরতে হয়েছে প্রতিবার। সরকারের চোখ খোলাতে তাই এবার চরম রাস্তা বেছে নিলেন এক ব্য়ক্তি। জানা গিয়েছে, যাবতীয় অভিযোগ গায়ে জড়িয়ে জেলাশাসকের অফিসের সামনে গিয়ে গড়াগড়ি খেলেন এক ব্যক্তি। তাঁর দাবি, বছরের পর বছর ধরে অভিযোগ জানিয়েছেন, যা সরকারের কানে পৌঁছয়নি। এই প্রতিবাদে যদি সরকারের দৃষ্টি আকর্ষণ হয় তাই এই পথ বেছেছেন ব্যক্তি। এই তাজ্জব ঘটনাটি ঘটেছে মধ্য প্রদেশে। সূত্রে খবর, নিমুচের জেলাশাসক প্রতি মঙ্গলবার করে সাধারণ মানুষের সঙ্গে দেখা করেন, তাদের সঙ্গে কথা বলেন, অভিযোগ শোনেন। সেখানেই হাজির হন মুকেশ প্রজাপতি নামক এক ব্যক্তি। রাস্তা দিয়ে কার্যত হামাগুড়ি দিয়ে আসেন তিনি। জেলাশাসকের অফিসের বাইরে দড়িতে বাঁধা শয়ে শয়ে পাতা গায়ে জড়িয়ে মাটিতে গড়াগড়ি খান তিনি। তাঁর এই কাণ্ড দেখে তো তাজ্জব সবাই। সবাই হাঁ করে তাকিয়ে দেখতে থাকেন এমন অভিনব প্রতিবাদ।
এমনভাবে প্রতিবাদ করার বিষয়ে মুকেশ প্রজাপতি নামক ওই ব্যক্তি বলেন, 'আমি কাঙ্কারিয়া গ্রামের বাসিন্দা। বিগত ৬ বছর ধরে জেলাশাসকের কাছে দুর্নীতির অভিযোগ জানাচ্ছি গ্রামের সরপঞ্চ বা প্রধানের বিরুদ্ধে, কিন্তু কিছুতেই আমার অভিযোগে আমল দেওয়া হচ্ছে না। বিরক্ত হয়ে এভাবে প্রতিবাদ করার এবং সরকারের দৃষ্টি আকর্ষণের জন্য আমি এই সিদ্ধান্ত নিয়েছি। দড়ি দিয়ে বেঁধে, সারা গায়ে যে কাগজগুলো জড়িয়ে এসেছি, তা হল এত বছরের অভিযোগ ও দুর্নীতির সমস্ত প্রমাণ।'
এই বিষয়ে সাব-ডিভিশনাল ম্যাজিস্ট্রেট মমতা খেড়েকে প্রশ্নের মুখে পড়তে হলে তিনি জানান, মুকেশ প্রজাপতি তাঁর গ্রামের সরপঞ্চের বিরুদ্ধে অভিযোগ জানিয়েছিলেন। পঞ্চায়েত ও গ্রামোন্নয়ন দফতর ইতিমধ্যেই তদন্ত শুরু করেছে। জেলা শাসক হিমাংশু চন্দ্রও জানান, নতুন করে তদন্তের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। তিনদিনের মধ্যে রিপোর্ট চাওয়া হয়েছে।