নিজস্ব সংবাদদাতাঃ রাতভর দাপট চলেছে ঘূর্ণিঝড় রেমালের। গতকাল মধ্যরাতে সাগরদ্বীপ ও বাংলাদেশের খেপুপাড়ার মাঝে ল্যান্ডফল হয়েছে ঘূর্ণিঝড় রেমালের। ঘূর্ণিঝড় 'রেমাল' আছড়ে পড়ার প্রভাবে আজ সকাল থেকেই পশ্চিমবঙ্গের বিভিন্ন এলাকায় প্রবল বৃষ্টি ও ঝোড়ো হাওয়া বয়ে গেছে।
/anm-bengali/media/media_files/offXQ6JfVPsxWe8CkbII.jpg)
প্রসঙ্গত, এখনও রাজ্যের বিভিন্ন জেলায় বৃষ্টি অব্যহত রয়েছে। দক্ষিণবঙ্গের জেলায় জেলায় ভারী থেকে অতি ভারী বৃষ্টিপাত হচ্ছে আজ সারাদিন ধরে। শক্তিশালী ঘূর্ণিঝড় রেমালের জেরে রাজ্যের বেশ কয়েকটি জেলায় বিরাট ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে। ঘূর্ণিঝড় রেমালের কারণে বিপর্যস্ত হয়েছে রাজ্যের উপকূলবর্তী অঞ্চলের বহু মানুষ। ঘূর্ণিঝড় রেমালের ল্যান্ডফলের ফলে রাজ্যের ক্ষয়ক্ষতির বিষয় নিয়ে আজ আবেগপ্রবণ টুইট করেছেন রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।
/anm-bengali/media/media_files/CLI7eitdOyv0pw4p3FAh.jpg)
তিনি টুইট করে বলেছেন, “পশ্চিমবঙ্গ নদীমাতৃক রাজ্য, বঙ্গোপসাগরের উপকূলে। প্রতিবছরই তাই আমাদের নানা প্রাকৃতিক দুর্যোগের সম্মুখীন হতে হয়। এবারো সাইক্লোন ‘রেমালে’র প্রভাবে আমাদের রাজ্যে প্রচুর ক্ষয়ক্ষতি হল ও হচ্ছে। কিন্তু সবার উপরে মানুষের জীবন। সৌভাগ্যক্রমে এবং অবশ্যই রাজ্য প্রশাসনের তৎপরতায় এবার জীবনহানি তুলনামূলকভাবে অনেক কম।"
মুখ্যমন্ত্রী মমতা বলেন, "নিহতদের পরিবারবর্গকে আমার আন্তরিক সমবেদনা জানাই, তাঁদের নিকটজনের হাতে অবিলম্বে আর্থিক সহায়তা পৌঁছাবে। ফসলের ও বাড়িঘরের যা ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে, তার ক্ষতিপূরণের বন্টন আইন-মোতাবেক প্রশাসন এখনই দেখে নেবে এবং নির্বাচনের আচরণবিধি উঠে গেলে আমরা এই সব বিষয় আরো গুরুত্ব দিয়ে পুরোটা বিবেচনা করব।”
/anm-bengali/media/media_files/ByMp6W4NsohQkHwcwSk6.jpg)
তিনি আরও বলেন, “নির্বাচনী বন্দোবস্তের ব্যস্ততা সত্ত্বেও সর্বস্তরে আমাদের প্রশাসন দুর্যোগ মোকাবিলায় এবার প্রস্তুত ছিল। মুখ্যসচিব থেকে শুরু করে আমার রাজ্যের সম্পূর্ণ সচিবালয়, জেলা প্রশাসন থেকে ব্লক প্রশাসন – দুর্যোগের মোকাবিলায় সকলে সংহতভাবে সবসময় মানুষের পাশে রয়েছে, ভবিষ্যতেও থাকবে। দুলক্ষ মানুষকে নিরাপদ জায়গায় ১৪০০ শিবিরে সরানোর কৃতিত্ব আমাদের পুরসভা – পঞ্চায়েতগুলিরও। এজন্য আমি রাজ্য ও স্থানীয় প্রশাসনের সকলকে আমার আন্তরিক ধন্যবাদ জানাই।”
মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বলেছেন, “আমি বিশ্বাস রাখি, সকলের সহযোগিতায় এই ঝড়ও আমরা কাটিয়ে উঠব। আমি জানি, এই দুর্যোগে আপনারা চিন্তিত। আমরাও চিন্তিত। কিন্তু ভয় পাবেন না, চিন্তা করবেন না। পরিস্থিতির মোকাবিলায় যা যা করণীয়, আমরা সবটাই করবো।”