হরি ঘোষ, লাউদোহা : 'কথায় আছে বিশ্বাসে মিলায় বস্তু, তর্কে বহুদূর '। আজও ভগবানের ওপর অটুট বিশ্বাস রয়েছে অগণিত মানুষের ।যদিও এই শতাব্দীর অনেকেই এগুলোকে অন্ধবিশ্বাস বলে মনে করেন। তবে ভক্তের সাথে ভক্তির অটুট বন্ধন আজও দেখা যায়। তেমনি এক ঘটনার সাক্ষী রইল পাণ্ডবেশ্বর বিধানসভার দুর্গাপুর ফরিদপুর ব্লকের মাধাইপুর ও পানসিউলি গ্রামের মানুষজন।
মাধাইপুর এলাকার বাসিন্দা তথা তৃণমূলের গোগলা অঞ্চল সভাপতি গৌতম ঘোষ জানান যে বিগত কিছুদিন ধরে মাধাইপুর ও পানশিউলি গ্রামে বহু মানুষ বসন্ত রোগে আক্রান্ত হচ্ছেন, মানুষের পাশাপাশি এই রোগ দেখা দিচ্ছে এলাকার পশু পাখিদের মধ্যেও। এই কারণেই একটা আতঙ্কের পরিবেশ বিরাজ করছে দুই গ্রামে । দুই গ্রামের মানুষেরা মিলে এই রোগ থেকে মুক্তি পেতে শরণাপন্ন হন এলাকার পন্ডিতদের কাছে। পন্ডিতদের বিধান অনুযায়ী মা মনসা কে সন্তুষ্ট করতে পারলেই এই ধরনের রোগের প্রকোপ থেকে মুক্তি পেতে পারে গ্রাম । বিধান অনুযায়ী, পানসিউলি বাগান মা মনসা মন্দিরে মা মনসার পুজোর আয়োজন করে দুই গ্রামের মানুষ। কথিত আছে, গ্রামের এই মা মনসা পাতাল ফুঁড়ে স্বমহীমায় বিরাজিত হয়েছেন। আনুমানিক প্রায় ৫০০ বছরের বেশি প্রাচীন এই মা মনসা। বর্তমানে সুন্দর সুসজ্জিত মন্দির হয়েছে এখানে। তাই শনিবার এই রোগের প্রকোপ থেকে বাঁচতে এলাকার মানুষেরা অজয় নদী থেকে কলস যাত্রা করে জল এনে সেই পবিত্র জল দিয়ে শুরু করেন মা মনসার পুজো । পুজোর পাশাপাশি হচ্ছে গ্রামের কল্যাণের জন্য যজ্ঞও। সকাল থেকেই মন্দির চত্বরে প্রচুর ভক্তের ভিড় । রয়েছে ভক্তদের জন্য মায়ের মহাপ্রসাদের ব্যবস্থাও। পঞ্চায়েত ভোটের ব্যস্ততার মধ্যেও মাধাইপুর এলাকার বাসিন্দা তথা বগুলা অঞ্চল তৃণমূল সভাপতি গৌতম ঘোষ পৌঁছন বাগানের মা মনসা মন্দিরে। মন্দিরে গিয়ে মায়ের পুজো দেন গৌতম বাবু এবং মন্দির কমিটির লোকেদের সাথে কথা বলেন। গ্রামের কল্যাণের খাতিরে যে কোনো রকম সহায়তায় তৎপর আছে গোগলা অঞ্চল তৃণমূল কংগ্রেস। মানুষের বিশ্বাস মা মনসা কে সন্তুষ্ট করতে পারলেই রোগ থেকে মুক্তি পাবে দুই গ্রামের মানুষ। আর এই বিশ্বাস আরও দৃঢ় হয়ে যায় যখন দেখা যায় মন্দির চত্বরে প্রচুর ভক্তের ভিড়।