নিজস্ব সংবাদদাতাঃ নন্দীগ্রামে পঞ্চায়েত ভোটের (Panchayat Vote) প্রচারে গিয়ে ফের শুভেন্দু অধিকারীর মুখে উঠে এল বিধানসভা ভোটের ফলাফল। নন্দীগ্রামে আজ বুধবার পঞ্চায়েত ভোটের প্রচারে গিয়ে তৃণমূল নেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে (Mamata Banerjee) নজিরবিহীনভাবে নিশানা করলেন বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী।
এদিন নন্দীগ্রামের বিজেপি বিধায়ক বলেন, 'সকলের কাছে আবেদন, বিজেপিকে জেতান পঞ্চায়েত ভোটে। ২০২১ সালে পায়ে প্লাস্টার লাগিয়ে, নাটক করেও নন্দীগ্রাম জিততে পারেনি মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। নন্দীগ্রাম (Nandigram) মুখ্যমন্ত্রীকে পরাস্ত করেছে।'
এদিকে পঞ্চায়েত ভোটের প্রাক্কালেও সেই ২০২১ সালের যেন পুনরাবৃত্তি ঘটেছে। আবারও হুইল চেয়ারে রয়েছেন তৃণমূল সুপ্রিমো মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। শোনা যাচ্ছে, এসএসকেএম হাসপাতালে মুখ্যমন্ত্রীর অস্ত্রপচার হবে। স্বাভাবিকভাবেই প্রশ্ন উঠছে, মুখ্যমন্ত্রীর সঙ্গে ঘটে যাওয়া এহেন ঘটনার কতটা প্রভাব পড়বে পঞ্চায়েত ভোটের ওপর।
প্রসঙ্গত, পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় আবারও বাম পায়ে আঘাত পেয়েছেন। গত ২৭ জুন খারাপ আবহাওয়ার কারণে শিলিগুড়ির কাছে সেভোক বিমানঘাঁটিতে হেলিকপ্টারের জরুরি অবতরণের সময় তিনি গুরুতরভাবে আহত হন। রাজ্য সরকারের বুলেটিনে বলা হয়, মুখ্যমন্ত্রী প্রতিদিন দুই ঘণ্টা ফিজিওথেরাপি চিকিৎসকের তত্ত্বাবধানে থাকেন।
বিজেপির রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার (Sukanta Majumdar) মমতার আঘাতের সময় নিয়ে প্রশ্ন তোলেন। এমনকি তিনি জানতে চেয়েছেন কেন সবসময় বাম পায়ে আঘাত লাগে। তাঁর অভিযোগ, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় হুইলচেয়ারে করে নির্বাচনী প্রচারে যাবেন এবং গ্রামীণ ভোটারদের সহানুভূতি আকর্ষণের চেষ্টা করতে পারেন। এদিকে সিপিআই (এম) রাজ্য সাধারণ সম্পাদক মহম্মদ সেলিমও একই প্রশ্ন তোলেন এবং এমনকি বলেছিলেন যে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের হেলিকপ্টারে ওঠার ইচ্ছা বর্জন করা উচিৎ এবং সড়ক পথে আরও বেশি ভ্রমণ করা উচিত।
এদিকে আগামী ৮ জুলাই রাজ্যে পঞ্চায়েত নির্বাচন হবে। আর এই পঞ্চায়েত নির্বাচনে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় আদৌ প্রচার করতে পারবেন কিনা তা বলা মুশকিল। তিনি বর্তমানে হুইলচেয়ারেই রয়েছেন। আর এই দৃশ্য সকলকে ২০২১ সালে যেন ফিরিয়ে নিয়ে যায়। ২০২১ সালের বিধানসভা নির্বাচনের সময় নন্দীগ্রামে বিধানসভা ভোটের প্রচারের সময় বাম পায়ে আঘাত পান মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।
সেইসময়ে তাঁকে তড়িঘড়ি করে এসএসকেএম হাসপাতালে নিয়ে আসা হয়। যদিও হুইলচেয়ারে বন্দী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বিধানসভায় জনসাধারণের সহানুভূতি আদায় করেছিলেন। ক্ষমতাসীন তৃণমূল কংগ্রেস (টিএমসি) ২০২১ সালে আবারও দুর্দান্ত প্রত্যাবর্তন করে।