নিজস্ব সংবাদদাতা, হিজলগোড়াঃ যত শীঘ্র সম্ভব রেশমী কারখানা চালু করা ও স্থানীয়দের চাকরি দেওয়ার দাবিতে কারখানার গেটের সামনে বিক্ষোভ করে হিজলগোড়ার মানুষ। এর পাশাপাশি তারা ২৬ কমিটিরও বিরোধিতা করে। এ বিষয়ে স্থানীয় লোকেরা জানায়, ২০১১ সালে রেশমী কোম্পানি এখানে কারখানা করার জন্য স্থানীয় লোকজনের কাছ থেকে জমি নিয়েছিল। তখন রেশমী কোম্পানি খুব কম দামে জমি কিনেছিল। কেউ পেয়েছে ২ লাখ টাকা কেউ পেয়েছে। কেউ ৮০,০০০ টাকা।
এভাবে ১২০০ বিঘা জমি অধিগ্রহণ করে রেশমী কোম্পানি। মানুষ আশা করছিল এখানে কারখানা নির্মাণ করলে স্থানীয় বেকার যুবকরা চাকরি পাবে। তাই ফ্যাক্টরি ম্যানেজমেন্টের সামনে তারা ২০০ স্থানীয় যুবককে চাকরি দেওয়ার দাবি জানায়। যা মৌখিকভাবে কর্তৃপক্ষ মেনে নিলেও দেখা যাচ্ছে ২০১১ সাল থেকে ২০২৪ সাল এসে গেছে কিন্তু এখনও স্থানীয় যুবকদের জন্য চাকরি দেওয়া হচ্ছে না বা কারখানা কর্তৃপক্ষ যত তাড়াতাড়ি সম্ভব কারখানা চালু করার বিষয়ে তারা আন্তরিক নয়।
এত বড় হিজলগোড়া এলাকায় স্থানীয় জনগণের প্রতিনিধিত্ব করার জন্য মাত্র ২৬ জনের একটি কমিটি গঠন করা হয়েছে। তারা স্পষ্টই বলে যে তারা ২৬ জনের এই কমিটিকে এলাকার সব মানুষ মানে না। সঠিক প্রতিনিধিত্বের জন্য ১০০ জনের একটি কমিটি গঠন করতে হবে, যা স্থানীয় জনগণের সাথে কারখানার সমন্বয় করবে। তারা স্পষ্টভাবে বলে যে তারাও চায় এখানে কারখানা তৈরি হোক যাতে এখানকার যুবকরা কাজ যেতে পারে। কাজের সন্ধানে অন্য রাজ্যে পরিবার নিয়ে যেতে হবে না। কিন্তু যখন এখানকার মানুষ কারখানাটি নির্মাণের জন্য জমি দিয়েছে এবং কারখানা পরিচালনার সাথে যুক্ত আধিকারিকরা মৌখিকভাবে সম্মত হয়েছে যে ২০০ জন যুবককে কর্মসংস্থান দেওয়া হবে, তারপরও কেন কারখানাটি চালু করা নিয়ে ম্যানেজমেন্ট আন্তরিক নয় ?
এই বিষয়ে কারখানার এক আধিকারিক বলেন স্থানীয় লোকেরা কারখানায় কর্মসংস্থানের দাবি করছেন এবং তাদের দাবিও পূরণ করা হবে।তিনি জানান, খুব শীঘ্রই কারখানা চালু হবে।বর্তমানে এই কারখানা চালুর প্রক্রিয়া চলছে।তিনি স্পষ্টভাবে বলেন, স্থানীয় যুবকদের চাকরিতে অগ্রাধিকার দেওয়া হবে। তবে তিনি বলেন, যখন তিনি নিজেই ক্যামেরার সামনে এসে সকলের সামনে এটি বলছেন তবে তা লিখিতভাবে দেওয়ার চেয়ে বেশি গুরুত্বপূর্ণ।