তিমিরেই রয়েছে আমলাশোল... খারাপ রাস্তা... প্রাণ হাতে নিয়ে যাতায়াত সাধারণ মানুষের
আমলাশোল সেই তিমিরেই রয়েছে। একবার অনাহারের জন্য সংবাদের শিরোনামে এসেছিল আমলাশোল। এবার রাস্তা! ১১ বছর আগে তৈরি হয়েছিল রাস্তা। তারপর একবারও সারাই হয়নি। প্রাণ হাতে নিয়ে স্থানীয় বাসিন্দাদের যাতায়াত করতে হয়।
নিজস্ব সংবাদদাতা: ২০০৪ সাল, পশ্চিমবঙ্গে তখন বামফ্রন্টের শাসন। সেই সময় ঝাড়গ্রামের আমলাশোলেতে অনাহারে বেশ কয়েকজন আদিবাসী সবর সম্প্রদায়ের মানুষের মৃত্যু হয়। এই খবর প্রকাশিত হতেই গোটা দেশ তোলপাড় হয়েছিল। তৎকালীন বিরোধী নেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় একহাত নিয়েছিলেন বাম সরকারকে। এরপর ২০১১ সালে সেই বাম সরকারকেই হটিয়ে বাংলার ক্ষমতায় দখল করে তৃণমূল। মুখ্যমন্ত্রী হন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তারপর কেটে গিয়েছে ১২ বছর, কিন্তু আদিবাসী অধ্যাষিত আমলাশোল আছে সেই তিমিরেই। কাঁকড়াঝোর থেকে আমলাশোল যাওয়ার রাস্তার হাল অত্যন্ত বেহাল। পিচের প্রলেপ উঠে গিয়েছে কবেই, কার্যত ফুটিফাটা ওই রাস্তা দিয়ে প্রাণ হাতে করেই যাতায়াত করেন আমলাশোলের মানুষজন।
স্থানীয়দের দাবি, পাঁচ থেকে ছয় বছর আগে গুরুত্বপূর্ণ এই রাস্তা শেষবার সারাই হয়েছিল। যদিও ক্ষমতায় এসে সেই ২০১২ সালে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় কাঁকড়াঝোর থেকে আমলাশোল পর্যন্ত প্রায় ২ কিমি কাঁচা রাস্তা ঢালাই করিয়ে নিজের হাতে শিলান্যাস করেন। এরপর থেকে এই রাস্তায় আর কোনও কাজ হয়নি। জায়গায় জায়গায় কংক্রিট ভেঙে ধসে গিয়েছে। ধান কাটার মরশুমে গাড়ি ঢুকতে পারে না।
স্থানীয় বিজেপি নেতার বক্তব্য, মুখ্যমন্ত্রী বারবার ঝাড়গ্রামে এসে মিথ্যে প্রতিশ্রুতি দিয়ে যান। অথচ কোনও কাজ হয় না।
এই রাস্তা দিয়েই আমলাশোল হয়ে যাওয়া যায় ঝাড়খন্ড ও পুরুলিয়ার দিকে। কিন্তু রাস্তা খারাপের জন্য কোনও গাড়ি ঢোকে না। ফলে ঘুরপথে যেতে হয় বেশিরভাগ মানুষকে। পঞ্চায়েত ভোটের পর অন্ততঃ রাস্তাটি মেরামত হবে বলে আশা করেছিলেন গ্রামবাসীরা। কিন্তু কয়েকমাস কেটে গেলেও প্রশাসন বা পঞ্চায়েত কেউ ঘুরেও দেখে না বলেই অভিযোগ।