নিজস্ব সংবাদদাতা: লাউদোহার কয়লা খনি এলাকায় সাট্টার পাশাপাশি বিভিন্ন জায়গায় সমান্তরাল ভাবে চলছে জুয়ো খেলার ঠেক। কোথায়, কিভাবে, কাদের মদতে, কারা চালাচ্ছে এই ঠেক?
সূত্র মারফত জানা যাচ্ছে, দুর্গাপুর ফরিদপুর ব্লকের তিলাবনী, সরপি জঙ্গল ও নাচন যাওয়ার পথে মাঝিপাড়া জঙ্গল এই তিনটি জায়গা সম্প্রতি নিয়মিত বসছে জুয়ার ঠেক। যদিও মাঝেমধ্যেই ঠেকের জায়গা বদল করা হয়, পুলিশ ও স্থানীয়দের নজর এড়াতে। দুপুর থেকে শুরু করে রাত ৭ টা পর্যন্ত চলে এই জুয়া খেলা।
সূত্র মারফত জানা যাচ্ছে এই সাট্টার কিংপিন পাল পদবির জনৈক এক ব্যাক্তি। সঙ্গে রয়েছে তার বেশ কয়েকজন সাগরেদ। মূলত পাল বাবুর তদারকিতেই চলছে এই জুয়া খেলা। জানা গেছে মাস দুয়েক আগে পালবাবু ও তার সাগরেদদের তদারকিতে ঠেকে জুয়ো খেলা শুরু হলেও তা কয়েক দিন পর বন্ধ হয়ে ফের দিন পাঁচেক আগে এই খেলা শুরু হয় বেশ বড় আকারে।
স্থানীয় সুত্রে জানা গিয়েছে, এই সব জুয়ার ঠেকে শুধু স্থানীয়দের পাশাপাশি বহিরাগত জুয়ারিদেরও আনাগোনা রয়েছে আবাধে। এখন প্রশ্ন উঠছে পুলিশ প্রশাসনের নাকের ডগায়, থানা থেকে ঢিল ছোড়া দূরত্বে কিভাবে এই জুয়া খেলা চলছে?
সূত্রের খবর, পুলিশ প্রশাসন ও শাসকদলের স্থানীয় নেতাদের একাংশের মদতেই চলছে এই জুয়ো খেলা। এছাড়াও গোগলা গ্রাম পঞ্চায়েতের বনগ্রাম এলাকাতেও চলছে দুটি বড়ো মাপের জুয়োর ঠেক। পুলিশ প্রশাসনের নজর থেকে বাঁচতে জুয়ো ঠেকের আশপাশে বিভিন্ন রাস্তার মোড়ে পাহারাদার নিয়োগ করা থাকে।
স্থানীয়দের একাংশর দাবী এই খেলায় এক শ্রেনীর পুলিশেরও মদত রয়েছে। জুয়ারীদের যারা টহলদার পুলিশের গাড়ির গতিবিধির উপর নজর রাখে বিভিন্ন মোড়ে মোড়ে। বেগতিক কিছু বুঝলে তারা সাথে সাথে মোবাইলের মাধ্যমে সতর্কবার্তা পাঠিয়ে দেয় ঠেকে। এই পাহারাদারদের কাজে নিয়োগ করা হয় দৈনিক টাকার বিনিময়ে। তবে শুধু দুর্গাপুর ফরিদপুর থানা নয় পার্শ্ববর্তী অন্ডাল থানার উখরা পুলিশ আউটপোস্ট এলাকাতেও রমরমে জুয়ো খেলা চলছে বলে অভিযোগ উখড়া গ্রামের সুভাষ ইনক্লাইন সংলগ্ন এলাকা ও চনচনি কোলিয়ারি এলাকাতেও চলছে এই ঠেক।
এ বিষয়ে খনি অঞ্চলের পাণ্ডবেশ্বর বিজেপির কনভেনার রূপক পাঁজা জানান, দুর্গাপুর ফরিদপুর এলাকায় মোটা টাকার অঙ্কের জুয়া খেলার ঠেক চলছে, আর তা পুলিশ প্রশাসনের মদতেই। রূপক বাবু আরও মারাত্মক অভিযোগ করে বলেন, এই জুয়ায় ঠেকে জুয়ারীদের মনোরঞ্জনের জন্য বাইরে থেকে মহিলা আনাও হয়। আর সব কিছু দেখেও চোখ বন্ধ করে আছে প্রশাসন। তিনি বলেন এই ধরনের জুয়ার ঠেক বন্ধ করতে স্থানীয়দেরই এগিয়ে আসতে হবে।