হরি ঘোষ, লাউদোহা : জমির বিনিময়ে চাকরির দাবিতে ঝাঁঝরা এরিয়ার জেনারেল ম্যানেজারের অফিসের সামনে অনশনে বসলো জমি দাতারা। জমিদাতা অনশন কারী নীলেশ সাধু, গোপীনাথ মান স্বর্ণকার,শুভদীপ মুখার্জিরা জানান, ঝাঁঝরা ইসিএল কর্তৃপক্ষ চাকরির বিনিময়ে দুর্গাপুর ফরিদপুর ব্লকের চারটি মৌজা থেকে ৩০ হেক্টর জমি অধিগ্রহণ করে।এর মধ্যে চক লাউদোহা মৌজা,জামগড়া, তিলাবনী ও লাউদোহা মৌজার জমি অধিগ্রহণ করে ইসিএল বলে জমিদার দাতারা জানান। অনশনরত জমিদাতারা জানান, ঝাঁঝরা এরিয়া কর্তৃপক্ষ গত ৪/৪/২০১৮ সালে সি বি এক্ট অনুযায়ী জমি অধিগ্রহণ হয়। জমিদাতাদের জমির বিনিময়ে চাকরি দেওয়ার প্রতিশ্রুতি ছিল ইসিএলের। কিন্তু দীর্ঘ পাঁচ বছর অতিক্রান্ত হওয়ার পরও চাকরি মেলেনি বলে অভিযোগ। জমিদাতা নিলেশ সাধু জানান, জমির বিনিময়ে চাকরির দাবিতে এই নিয়ে বহু বার আন্দোলন হয়েছে এমনকি ইসিএলের হেডকোয়ার্টারেও আন্দোলন করা হয়েছে । মিলেছে শুধুই প্রতিশ্রুতি। প্রতিশ্রুতি ছাড়া বিগত পাঁচ বছরে কিছুই মেলেনি জমিদাতাদের বলে অভিযোগ তাদের। তাই দেওয়ালে পিঠ ঠেকে যাওয়ায় অনশনের পথে নামতে বাধ্য হয়েছেন জমি দাতারা। বলে জানান অনশনকারীরা। অনশনকারীরা এটাও জানান যেখানে ইসিএলের অন্যান্য এরিয়ায় জমির বিনিময়ে চাকরি দেওয়ার প্রক্রিয়া চলছে,তাহলে ঝাঁজড়া এরিয়া কর্তৃপক্ষ কেন তাদের বিষয়টি নিয়ে মাথা ঘামাচ্ছেন না। তাই সোমবার সকাল ১০ টা থেকে ইসিএলের ঝাঁঝরা এরিয়ার জেনারেল ম্যানেজারের অফিসের একেবারে গেটের সামনে অনশনে বসে পড়েন জমিদাতারা। অহিংসভাবে আন্দোলনরত অনশনকারীরা শুয়ে পড়েছিলেন জেনারেল ম্যানেজারের অফিসের গেটের সামনে। ঠিক সেই মুহূর্তেই দেখা গেল বিবেকহীনভাবে অনশনকারীদের একেবারে উপর দিয়ে যাতায়াত করছেন অফিসে কর্মরত বেশ কিছু মহিলা ও পুরুষ কর্মী। শুয়ে থাকা অনশনকারীদের ওপর দিয়ে এভাবে চলাচল করার কতটা যৌক্তিকতা আছে এটা নিয়েই উঠছে প্রশ্ন? অনশনকারীরা মনে করছেন এভাবে তাদের ওপর দিয়ে যাতায়াত করায় তাদের আন্দোলনকে অপমান করা হয়েছে, এক কথায় তাদের বুকের উপর দিয়ে পা দিয়েই তারা যাতায়াত করেছেন। যদিও এই ব্যাপারে জেনারেল ম্যানেজারকে ফোন করা হলে তিনি ফোন ধরেননি।যদিও শেষ পর্যন্ত পাওয়া খবর অনুযায়ী বিকেল তিনটে নাগাদ এরিয়ার জেনারেল ম্যানেজারের আশ্বাসে আগামী দুদিনের মধ্যে সমস্যার সমাধান হবে এই মর্মে আশ্বাস দেওয়া হয় অনশনকারীদের। অবশেষে জেনারেল ম্যানেজারের আশ্বাসে অনশন তুলে নেন অনশনকারীরা। তবে দুদিনের মধ্যে সমস্যার সমাধান না হলে আগামী দিনে বৃহত্তর আন্দোলনে নামার কথাও জানান অনশনরত জমি দাতারা।