নিজস্ব সংবাদদাতা : সপ্তাহান্তে মধ্যবিত্তের হেঁশেলে আগুন। সবজি হোক মাছ-মাংস, বাজারদর অগ্নিমূল্য। আগামীকাল ছুটির দিন। একেই প্রচন্ড গরমে দীর্ঘশ্বাস ফেলছে আম জনতা, তার ওপর চড়া বাজার দরে উঠছে একটাই প্রশ্ন, খাব কী?
শনিবার সবজির বাজারেও আগুন। সাধারণত রোজকার মেনুতে সবজির মধ্যে থাকে, আলু, পটল, বেগুন, সিম, টমেটো, সজনে ডাটা, কুমড়ো। এর মধ্যে বেগুনের দাম বেশি। বাজারে প্রতি কেজি জ্যোতি আলু বিক্রি হচ্ছে কেজি প্রতি ১৮ টাকা দরে। চন্দ্রমুখী আলু বিক্রি হচ্ছে ২৪-২৬ টাকা কেজি দরে। পটল বিক্রি হচ্ছে কেজি প্রতি ২৫-৩০ টাকা দরে। বেগুনের দাম কেজি প্রতি ৫০ টাকা। টমেটো বিক্রি হচ্ছে কেজি প্রতি ৫০ থেকে ৬০ টাকায়। যার স্বাদ তেঁতো সেই উচ্ছেও কিনা বিক্রি হচ্ছে কেজি প্রতি ৫০ টাকায়। রান্নায় ঝাল না হলে চলে? সেই কাঁচা লঙ্কার দামও প্রতি ১০০ গ্রাম ১২ টাকা। গরমে প্রাণ জুড়োতে চাই শরবত। আর তার জন্য চাই লেবু। পাতি লেবু বিক্রি হচ্ছে পিস প্রতি ১ টাকা থেকে ৩ টাকায়।
এতো গেল সবজি বাজারের কথা। এবার মাছে ভাতে বাঙালির মাছের বাজারের কথায় আসা যাক। নিত্যদিনের রুইয়ের দাম সাধ্যের মধ্যে থাকলেও চিংড়ি, ভেটকির দর বেশি। ফলে বাড়িতে অতিথি এলে চিন্তার বিষয়। রুইয়ের দর প্রতি কেজিতে ২০০ টাকা। কাটা রুই বিক্রি হচ্ছে কেজি প্রতি ২৬০-২৭০ টাকায়। তেলাপিয়ার প্রতি কেজিতে দাম রয়েছে ১৮০ থেকে ২০০ টাকা। ভেটকির দর কেজি প্রতি ৫০০ টাকা। পাবদার দাম শুরু হচ্ছে ৩৫০ টাকা থেকে। কাতলার দর কেজি প্রতি ৪০০ টাকা। ছোট চিংড়ি ১০০ গ্রাম কিনলে দিতে হচ্ছে ৩০ টাকা। বাগদার ক্ষেত্রে কেজি প্রতি দাম ৪০০-৪৫০ টাকা। গলদা চিংড়ির দাম প্রতি কেজি প্রায় ৭০০ টাকা। স্বস্তি নেই মাংসের দামেও। চিকেনের দাম ছুঁয়েছে ২৪০-২৫০ টাকা। গোটা মুরগি বিক্রি হচ্ছে ১৪০ টাকা থেকে ১৫৩ টাকা কেজিতে। মটনের দাম কেজি প্রতি ৭৫০ টাকা-৮১০ টাকা। শরীর স্বাস্থ্য নিয়ে সচেতন যারা তাদের অনেকেই মটন খেতে ভালোবসলেও চিকেনই বাড়িতে বেশি ঢোকে। চিকেনপ্রেমীর সংখ্যাই বেশি। সেই চিকেনের দরও বাড়ছে।
সবজি থেকে মাছ-মাংসের দামে মধ্যবিত্তের মাথায় হাত। এই গরমে অনেকেই হালকা খাবার খেতে পছন্দ করেন। তার ওপরে যা দাম তাতে কাটছাঁট হচ্ছে মেনুতে।