নিজস্ব সংবাদদাতা: 'ডানা' ঘূর্ণিঝড়ের প্রভাব পশ্চিম মেদিনীপুরে না পড়লেও নিম্নচাপের বৃষ্টিপাত ব্যাপক প্রভাব ফেলেছে কেশপুর, চন্দ্রকোণা, ঘাটাল, দাসপুরের বিভিন্ন এলাকায়। গত শনিবার কেশপুরে কুবাই, পারাং ও তমাল নদীর চারটি জায়গায় নদী বাঁধ ভেঙে যাওয়ার ঘটনা ঘটে। তার জেরে কেশপুরের আনন্দপুর, মুগবসান, ইছাপুর সহ বহু গ্রাম প্লাবিত হতে শুরু করেছিল। গভীর রাত পর্যন্ত বিভিন্ন এলাকায় নদী বাঁধ মেরামতের চেষ্টা করেছিলেন গ্রামবাসীরা।
বন্যার জল বিভিন্ন গ্রামে ঢুকে এখনো প্লাবন পরিস্থিতি কেশপুরের বিভিন্ন অঞ্চল। তবে জল নামতে শুরু করেছে। কেশপুরের বিধায়ক তথা রাজ্যের প্রতিমন্ত্রী শিউলি সাহা বলেছিলেন, "১৯৯৮ সালের পর এবার অনেক বড় বন্যা হয়েছে। প্রশাসনের উচিত ঘূর্ণিঝড়ের তুলনায় এই বন্যা প্লাবিত এলাকার দিকে বেশি নজর দেওয়া। আমি জেলা শাসক থেকে আধিকারিকদের সকলকে এই বিষয়টি জানিয়েছি”।
তারপরই ভেঙে যাওয়া নদী বাঁধ এলাকাগুলি ও বেশি ক্ষতি হয়েছে এমন এলাকাগুলি মোটরসাইকেলে করে পরিদর্শনে বের হলেন কেশপুরের বিডিও। মোটরসাইকেলের পেছনে অতিরিক্ত জেলা শাসক মৌমিতা সাহা।
মঙ্গলবার দুপুর থেকে কেশপুরে ভেঙে যাওয়া নদী বাঁধ এলাকাগুলি এভাবেই ঘুরে পরিদর্শন করলেন বিডিও ও অতিরিক্ত জেলা শাসক। কেশপুরের বিবেকপুর, সরিষাখোলা, বিক্রমপুর, সিংপুর এলাকা পরিদর্শন করেন এদিন। প্রত্যন্ত গ্রামীণ এলাকার সরু রাস্তাতে চার চাকার গাড়ি না যাওয়ায় মোটরসাইকেল নিয়ে গেলেন তারা। বিভিন্ন এলাকা ঘুরে পরিস্থিতি সরজমিনে খতিয়ে দেখেন। সঙ্গে ছিলেন জেলা পরিষদের দলনেতা মহম্মদ রফিক সহ অন্যান্য জনপ্রতিনিধি ও আধিকারিকরা।
বিডিও কৌশিক রায় জানিয়েছেন, "বহু এলাকা প্লাবিত হয়েছিল। সেই সমস্ত প্লাবিত এলাকাগুলি খতিয়ে দেখা হয়েছে। বিভিন্ন আধিকারিকদের সঙ্গে নিয়ে আমরা হিসেব করেছি। অনেকগুলি বাড়ি ভেঙে পড়েছে। চাষেও প্রচুর ক্ষতি হয়েছে। সেগুলি দ্রুত মেরামত করা হবে”।