নিজস্ব প্রতিনিধি, ঝাড়গ্রাম: পাঁচিল ঘেরা প্রশস্ত চত্বরে নীল-সাদা বিল্ডিং। ঝাড়গ্রাম জেলার সাঁকরাইল ব্লকের পাথরা গ্রাম পঞ্চায়েতের বাকড়া এলাকায় কোটি টাকা ব্যায়ে তৈরি সরকারি ভবন রাজ্য সরকারের কর্মতীর্থ প্রকল্পের আওতায় তৈরি হয়েছে। এখন ভবনটি পড়ে রয়েছে একরকম অনাদরে আর তালাবন্ধ দশায়। অথচ এলাকার বেকার যুবক-যুবতীদের কর্মসংস্থানের লক্ষ্যেই ব্লকে ব্লকে আধুনিক সুবিধাসম্পন্ন বিপণি কেন্দ্র তৈরি করা হয়েছে যেখান থেকে উৎপাদিত পণ্য সরাসরি তুলে দেওয়ার সুযোগ ছিল ক্রেতাদের কাছে। কেন কর্মতীর্থের এমন বেহাল দশা, তা তুলে ধরেছেন ব্লকের সমষ্টি উন্নয়ন আধিকারিক।
জানা গেল যে ব্লক কিংবা জেলা প্রশাসনের নজরদারি ও পদক্ষেপের অভাবে, একরকম পরিত্যক্ত ভবনে পরিণত হয়েছে সাঁকরাইল ব্লকের কর্মতীর্থ। সুবিশাল ভবনে যত্রতত্র ঢাঁই হয়ে পড়ে নির্মাণ সামগ্রী আর নোংরা আবর্জনা। ভেঙেছে একাধিক জানলার কাঁচ। আগাছার জঙ্গলের মধ্যেই বাড়ছে অসামাজিক কাজকর্ম। কর্মতীর্থের বেহাল দশা ঘিরে কাটমানির অভিযোগও উঠেছে। একই সঙ্গে রাজ্যের শাসক দলের জেলা নেতৃত্বকে কাঠগড়ায় তুলেছেন ব্লকের বিজেপি নেতৃত্ব।
পদ্ম শিবিরের কর্মতীর্থ ঘিরে যাবতীয় অভিযোগ ফুৎকারে উড়িয়েছেন ব্লকের তৃণমূল নেতা মথুর মাহাত। কমবেশি ৭ বছর আগে তৈরি সাঁকরাইল ব্লকের কর্মতীর্থ কেন চালু হয়নি তা নিয়ে উঠছে নানান প্রশ্ন। ভবনের ২৩টি দোকানঘর তালাবন্ধ অবস্থায় পড়ে থাকার পরেও করা হয়নি সংশ্লিষ্টদের বিরুদ্ধে কোনও পদক্ষেপ। তাই দ্রুত প্রশাসনিক পদক্ষেপের দাবি তুলেছেন এলাকাবাসী।