নিজস্ব সংবাদদাতা : মা সরস্বতী ও মা কালী, দুই দেবীই হিন্দু ধর্মে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ, তবে তাদের ভূমিকা আলাদা। মা সরস্বতী বিদ্যা, সঙ্গীত, কলা এবং জ্ঞানের দেবী হিসেবে পূজিত হন, যেখানে মা কালী শক্তি, ধ্বংস এবং পুনর্নির্মাণের প্রতীক। তবে, কিছু শাস্ত্র মতে, কালী এবং সরস্বতী একে অপরের বিশেষ রূপ। অনেক শাস্ত্রে মা কালীকে ‘জ্ঞানস্বরূপা’ বলা হয়েছে এবং মা সরস্বতীও সেই জ্ঞানের দেবী।
/anm-bengali/media/media_files/pWkFinCcybtwtkEYqALd.jpg)
ভদ্রকালীকে শাস্ত্রে ‘অনিরুদ্ধা সরস্বতী’ বলা হয়েছে, যার মানে হল যে মা কালী এবং মা সরস্বতী একে অপরের রূপ। মা কালী যেমন শক্তির দেবী, তেমনি মা সরস্বতীও জ্ঞানপ্রদায়িনী। তাদের মধ্যে কিছু সাদৃশ্যও আছে, যেমন, মা কালীর গলায় ৫১ মুণ্ডের মালা এবং মা সরস্বতীর হাতে থাকা অক্ষমালা, যা ৫১ বর্ণের। এছাড়া, মা কালীর খড়্গকে ‘জ্ঞানখড়্গ’ বলে উল্লেখ করা হয়, যার মাধ্যমে মায়া, মোহ, এবং অবিদ্যার ছেদন ঘটে। একইভাবে, মা সরস্বতীর হাতে বেদ থাকে, যা সাধককে জ্ঞান দান করে।
/anm-bengali/media/media_files/wqXXl66KD7i1D66yFQuF.jpg)
এছাড়া, ভদ্রকালীর উল্লেখের মধ্যে একটি গূঢ় অর্থ রয়েছে—কালী শুধু ধ্বংসের দেবী নন, তিনি সৃজনশীল শক্তি এবং জ্ঞানের উৎসও। বহু শাস্ত্রে কালীকে মহাকালের সঞ্চালিকা এবং সৃজনশীল শক্তির দেবী হিসেবে প্রতিষ্ঠিত করা হয়েছে। কিছু ধর্মীয় দৃষ্টিকোণেও মা সরস্বতী এবং মা কালী একসঙ্গে পূজিত হন, যেখানে কালী শক্তির দেবী এবং সরস্বতী জ্ঞানের দেবী হিসেবে পূজিত হন।