নিজস্ব সংবাদদাতা, ঝাড়গ্রাম: স্কুল সার্ভিস কমিশনের ৩টি পরীক্ষার সব ধাপে উত্তীর্ণ হয়েও এখন চাকরিহারা ঝাড়গ্রাম জেলার সাঁকরাইল ব্লকের ঘোড়াপাড়া গ্রামের বাসিন্দা কিসুন বেসরা। বহড়াদাঁড়ি জুনিয়র হাইস্কুলের একমাত্র শিক্ষক, সুপ্রিম নির্দেশের শিকার। মানসিক যন্ত্রণা রীতিমতো ক্ষতবিক্ষত হচ্ছেন ২০১৬ সালের এসএলএসটিতে নিয়োগ পাওয়া আদিবাসী যুবক।
বহড়াদাঁড়ি জুনিয়র হাইস্কুলে তিনিই ছিলেন, একমাত্র পূর্ণসময়ের শিক্ষক। তাঁর অবর্তমানে শিক্ষার্থীদের ভবিষ্যৎ কী হবে ভেবে কুল কিনারা পাচ্ছেন না কিসুন বেসরা।
/anm-bengali/media/media_files/2025/04/08/a13-605988.png)
চাকরিহারা শিক্ষকের উপর নির্ভরশীল বৃদ্ধা মা, স্ত্রী ও দুই নাবালক সন্তান। সুপ্রিম কোর্টের ডিভিশন বেঞ্চের রায়ে সুখের সংসার ঢুকে পড়েছে উদ্বেগ আর দুঃশ্চিন্তা। স্বভাবতই পরিবারের সদস্যদের মানসিক চাপ কাটানোর পথ খুঁজতে ব্যস্ত জঙ্গলমহলের কৃতী আদিবাসী যুবক।
চাকরিহারা শিক্ষক আপাতত মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের দিকে তাকিয়ে। রাজ্যের প্রশাসনিক প্রধান, ইতিবাচক পদক্ষেপ না করলে, বৃহত্তর আন্দোলনে নামার প্রস্তুতিও শুরু করেছেন।
সাঁকরাইল ব্লকের কিসুন বেসরা একা নন, ঝাড়গ্রাম জেলার স্কুলে সবমিলিয়ে ৫২৭ জনের চাকরি বাতিল হয়েছে সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশের জেরে।