নিজস্ব সংবাদদাতা: ওয়াকফ আইনের প্রতিবাদ ঘিরে রাজ্যজুড়ে উত্তপ্ত পরিস্থিতির মধ্যেই শনিবার পুলিশ গুলি চালিয়েছে সুতির সুজার মোড়ে। এ বিষয়ে সাংবাদিক সম্মেলনে মুখ খুললেন এডিজি (আইন-শৃঙ্খলা) জাভেদ শামিম। তিনি জানান, “পুলিশ বাধ্য হয়েই চার রাউন্ড গুলি চালিয়েছে। তিন ঘণ্টারও বেশি সময় ধরে চলা হিংসার জেরে মানুষের প্রাণ রক্ষা করতেই এই সিদ্ধান্ত নিতে হয়।”
প্রসঙ্গত, ওয়াকফ আইনের সংশোধনের প্রতিবাদে গত কয়েক দিন ধরে রাজ্যের একাধিক এলাকায় ছড়িয়েছে অশান্তি। মুর্শিদাবাদের ধুলিয়ান, সুতি, সামশেরগঞ্জ—সব জায়গাতেই বিক্ষোভ ক্রমেই হিংসাত্মক রূপ নিয়েছে। সরকারি বাস, পাবলিক প্রপার্টি পুড়িয়ে দেওয়া হয়েছে।
/anm-bengali/media/media_files/zOSxCy1FoTqVsFEnUEBl.jpg)
এই প্রেক্ষিতেই এডিজি বলেন, “সুতির সুজার মোড় ও সামশেরগঞ্জের ডাকবাংলো মোড়—এই দুই জায়গায় পরিস্থিতি ভয়াবহ হয়ে উঠেছিল। রাস্তা অবরোধ করে পুলিশকে লক্ষ্য করে হামলা চালানো হয়। আমরা পর্যায়ক্রমে সব ধরনের শক্তি প্রয়োগ করি—প্রথমে লাঠিচার্জ, এরপর কাঁদানে গ্যাস। কিন্তু উন্মত্ত জনতা আরও হিংস্র হয়ে ওঠে।”
তিনি আরও জানান, “পাবলিক বাস ও সরকারি সম্পত্তিতে আগুন লাগিয়ে দেয় জনতা। দীর্ঘ সময় ধরে সংঘর্ষ চলার পর প্রাণহানির আশঙ্কা তৈরি হয়। তখনই পুলিশ চার রাউন্ড গুলি চালায়। আমাদের কাছে খবর রয়েছে, দু’জন আহত হয়েছেন এবং বর্তমানে হাসপাতালে চিকিৎসাধীন। তাঁরা এখন স্থিতিশীল।”
এই মন্তব্যের মাধ্যমে প্রশাসনের পক্ষ থেকে স্পষ্ট করে দেওয়া হলো, পরিস্থিতি আয়ত্তে আনতেই পুলিশের এই পদক্ষেপ—এটি ছিল আত্মরক্ষামূলক এবং প্রাণ বাঁচানোর উদ্দেশ্যেই নেওয়া সিদ্ধান্ত।