নিজস্ব সংবাদদাতা: যতই আসুক থিম পুজো। সাবেকিআনার পুজোর তুলনা আজও হয় না। জলপাইগুড়ি শহরে লেগেছে থিমের নানান ছটা। কিন্তু তা সত্বেও অমলিন রয়ে গিয়েছে রাজবাড়ির পূজোর ঐতিহ্য। জলপাইগুড়ির দুর্গাপূজা মানেই রাজবাড়ীর পুজো। বৈকুণ্ঠপুর রাজবাড়িতে চলছে দুর্গাপুজো। আজ মহাসপ্তমী।
এই দিন কলা বউ স্নান করিয়ে নব পত্রিকার স্থাপন করা হয় মায়ের সামনে। রাজ পরিবারের সদস্যদের উপস্থিতিতে ৫১৫ বছরের এই পুজো হয়ে উঠেছে জমজমাট। এদিন ভোরবেলা থেকেই ভক্তদের আনাগোনা লক্ষ্য করা যায় মন্দিরে। পরিবারের নিয়ম অনুযায়ী শুরু হয়েছে সপ্তমী পুজো এই পুজোতে থাকে মাকে আমিষ ভোগ দেওয়ার প্রথা। সেই প্রাচীন কাল থেকে চলে আসা বলি প্রথা আজও চলে আসছে। পাঠা এবং পায়রা বলি দেওয়া হয়।
চালের গুঁড়ো দিয়ে মানুষ তৈরি করে দেওয়া হয় নরবলি। রথের দড়ি টেনে রাজবাড়ীর পুকুরে বিসর্জন দেওয়া হয় দেবী দুর্গাকে।। জলপাইগুড়ি রাজবাড়ির পূজোর বিসর্জন ঘিরে হাজার মানুষের সমাগম হয়, ছোট থেকে বড় ৮ থেকে ৮০ সকলেই ভিড় করতে শুরু করেন।
উত্তরবঙ্গের বিভিন্ন জেলাতে বটেই এমনকি দক্ষিণবঙ্গ থেকেও বহু মানুষ আসেন এই পুজোর আবেগ প্রত্যক্ষ করতে। প্রতিদিন থাকে খিচুড়ি ভোগ গ্রহণের ব্যবস্থা। রাজ পরিবারের সদস্য প্রণতো কুমার বসু জানান, এই পূজার মধ্যে জড়িয়ে রয়েছে আবেগ এবং ঐতিহ্য। বংশ পরম্পরায় পুরোহিত শিবু ঘোষাল দেবীর পূজা অর্চনা করেন।