নিজস্ব প্রতিনিধি, পূর্ব মেদিনীপুর : রবিবার জগন্নাথদেবের স্নানযাত্রার অনুষ্ঠান পালিত হচ্ছে সাড়ম্বরে। জৈষ্ঠ্য মাসের পূর্ণিমা তিথিতে জগন্নাথ দেবের স্নানযাত্রা পালিত হয়। কথিত রয়েছে, রাজা ইন্দ্র ওড়িশার পুরী মন্দিরে জগন্নাথ দেবের বিগ্রহ প্রতিষ্ঠা করার পর থেকেই এই স্নান যাত্রা পালিত হয়ে আসছে। পুরীর জগন্নাথ দেবের মন্দিরের পাশাপাশি পূর্ব মেদিনীপুর জেলার প্রবেশদ্বার মেচেদার ইসকন মন্দিরে অগণিত ভক্তদের ভিড় হয় প্রতি বছর। পুন্যার্জনের আশায় কেউ দুধ, কেউ জল,কেউবা ডাবের জল দিয়ে স্নান করান জগন্নাথ, বলরাম এবং সুভদ্রার বিগ্রহকে। দিনভর চলে স্নানযাত্রার অনুষ্ঠান। পাশাপাশি চলে নাম সংকীর্তন ও প্রসাদ বিতরণ অনুষ্ঠান।
/anm-bengali/media/media_files/opD1EET6OJ3yxVDzRlTe.jpg)
/anm-bengali/media/media_files/RzhkoKElOwtG4KntBK4T.jpg)
গোলাপ- পদ্ম সহ বিভিন্ন ফুলের পুষ্প বৃষ্টি করা হয় বিগ্রহের ওপর। স্নান শেষে মন্দিরের দেব সিংহাসনে বসানো হয় দেবতাদের। জানা যায়, এই স্নান যাত্রা শেষে প্রায় ১৫ দিন জ্বরে ভোগেন জগন্নাথ-বলরাম-সুভদ্রা। তাই রথ যাত্রার ১৫ দিন আগে পর্যন্ত কোনও দর্শনার্থী ভগবানের দর্শন পাবেন না। তবে চলবে প্রতিনিয়ত নিত্য পূজা। অপরদিকে, মেচেদা ইসকনের অধ্যক্ষ আনন্দময় গোবিন্দ দাস মহারাজ স্নানযাত্রা মাহাত্ম্য জানানোর পাশাপাশি ওড়িশার বালেশ্বরে রেল দুর্ঘটনায় মৃতদের পরিবারের প্রতি সমবেদনা জানান। আজকের দিনে মেচেদার এই ইসকন মন্দিরে প্রতিবছরই আসেন বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। কিন্তু রেল দুর্ঘটনার কারণে তিনি আজকে উপস্থিত হতে পারেননি। তিনি বালাসোরে দুর্ঘটনাস্থল পরিদর্শনে গিয়েছেন।