নিজস্ব সংবাদদাতাঃ পশ্চিমবঙ্গের সাংস্কৃতিক পরিমণ্ডলে জগদ্ধাত্রী পূজা একটি বিশেষ স্থান ধারণ করে। প্রধানত চন্দননগর, হুগলী এবং কৃষ্ণনগরে উদযাপিত এই উৎসবে জগদ্ধাত্রী দেবীকে সম্মানিত করা হয়। এটি সাধারণত নভেম্বরে অনুষ্ঠিত হয়, দুর্গাপূজার পরে। এই অনুষ্ঠানটি বিশাল শোভাযাত্রা, অলংকৃত সাজসজ্জা এবং জীবন্ত জনসাধারণের অংশগ্রহণের মাধ্যমে চিহ্নিত করা হয়।
ঐতিহাসিক মূলঃ জগদ্ধাত্রী পূজার উৎপত্তি আঠারো শতকে ফিরে যায়। কৃষ্ণনগরের রাজা কৃষ্ণচন্দ্র এই উৎসবকে জনপ্রিয় করার জন্য স্বীকৃত। সময়ের সাথে সাথে, এটি বাংলার সাংস্কৃতিক পরিচয়ের একটি অবিচ্ছেদ্য অংশে পরিণত হয়। পূজা অঞ্চলের সমৃদ্ধ ঐতিহ্য এবং ধর্মীয় উৎসাহ প্রতিফলিত করে।
সাংস্কৃতিক তাৎপর্যঃ জগদ্ধাত্রী পূজা শুধুমাত্র একটি ধর্মীয় অনুষ্ঠান নয়; এটি ঐক্য ও সম্প্রীতির প্রতীক। বিভিন্ন পটভূমির লোকেরা একত্রিত হয়ে উদযাপন করতে আসে। উৎসবটি মণ্ডপ সাজসজ্জা এবং মূর্তি তৈরির মাধ্যমে ঐতিহ্যবাহী শিল্পকলা প্রদর্শন করে। এটি পর্যটকদের আকর্ষণ করে স্থানীয় অর্থনীতিকেও উন্নত করে।
উদযাপনের মুখ্য আকর্ষণঃ উৎসবগুলি জগদ্ধাত্রীর সুন্দরভাবে সজ্জিত মূর্তি নিয়ে শোভাযাত্রা অন্তর্ভুক্ত করে। এই শোভাযাত্রাগুলি সঙ্গীত এবং নৃত্য পারফর্ম্যান্সেও সাথে থাকে। স্থানীয় শিল্পীরা জটিল মণ্ডপ ডিজাইনের মাধ্যমে তাদের দক্ষতা প্রদর্শন করে।