ঠিক ১ বছর আগে গ্রেফতার অনুব্রত মণ্ডল! বীরভূমে কি এখনও প্রাসঙ্গিক?

বোলপুরের নিচুপট্টি এলাকার নীল রঙের বাড়ি থেকে অনুব্রতকে গ্রেফতার করে নিয়ে যায় সিবিআই। উপচে পড়েছিল ভিড়। মেয়েও এখন জেলে। এক বছর পরে বাড়িটি খাঁ খাঁ করছে।

author-image
Anusmita Bhattacharya
New Update
anubrata3

ফাইল ছবি

নিজস্ব সংবাদদাতাঃ ঠিক এক বছর আগে এমনই এক আগস্টের সকালে বোলপুর শহরের নিচুপট্টি এলাকার নীল রঙের বাড়িটি বাড়ি থেকে অনুব্রত মণ্ডলকে গ্রেফতার করে নিয়ে গিয়েছিল সিবিআই। সেই দিন উপচে পড়েছিল ভিড়। এক বছর পরে সেই নিচুপট্টির সেই বাড়ি খাঁ খাঁ করছে। কারণ অনুব্রত মণ্ডল নেই। নেই মেয়ে সুকন্যাও।গরু পাচার মামলায় বাবা-মেয়ে দুজনেই এখন তিহাড় জেলে। এবার প্রশ্ন, বীরভূমের রাজনীতিতেও কি অনুব্রত এখনও আছেন? বিশেষ করে পঞ্চায়েত ভোটে তৃণমূলের জয়ের পরে কী অবস্থা? 

জেলবন্দি অনুব্রতকে ‘মুছে’ ফেলতে চাইছে দল, এমন অভিযোগ তুলছেন অনুব্রতর ঘনিষ্ঠদের মধ্যে থেকে কয়েকজন। কারণ, একে তো পঞ্চায়েত ভোটে তৃণমূলের জয়। তার পরে দলের অনুষ্ঠানে বেশির ভাগ ব্যানার পোস্টারে অনুব্রতর মুখ নেই। রাজনৈতিক পর্যবেক্ষকেরা বলছেন যে সমস্ত পঞ্চায়েত সমিতি তৃণমূলের দখলে, ৫৯ আসনের জেলা পরিষদে বিরোধী জয়ী সদস্য কেবল ১ জন। সবই সম্ভব হয়েছে কেষ্টর অনুপস্থিতিতে। বিরোধীদের দাবি, অনুব্রতের ‘দেখানো পথে’ প্ল্যান করেই জয় পেয়েছে শাসকদল। কিন্তু, এই বিপুল নির্বাচনী ‘সাফল্য’ অনুব্রতকে জেলার রাজনীতিতে আরও ‘অপ্রাসঙ্গিক’ করে দেবে বলে অনুমান করছেন তাঁর অনুগামীদের একাংশ। তাঁদের ক্ষোভ, গ্রেফতারির আগে অবধিও জেলার শেষ কথা বলতেন একমাত্র অনুব্রত। আজ সেখানে তাঁদের কেষ্টদার নামটুকুই শুধু রয়ে গিয়েছে।

এই অবস্থায় আর কত দিন জেলা তৃণমূলের সভাপতি পদে রাখা হবে অনুব্রতকে সেই চর্চাও চলছে। দলেরই অনেকে মনে করছে যে তিহাড় জেল থেকে বেরোনো এখন সহজ নয়। ফলে, লোকসভা নির্বাচন পর্যন্ত অনুব্রতহীন কোর কমিটির উপরেই আস্থা রাখবেন শীর্ষ নেতৃত্ব, এমনও মনে করছে বিভিন্ন মহল। তবে, অনুব্রত না থাকায় গোষ্ঠীদ্বন্দ্ব মাথাচাড়া দিয়ে উঠেছে বলে কেউ কেউ ভাবছে। তাই সিউড়ি পুরসভার চেয়ারম্যান পদ থেকে পদত্যাগ করেন প্রণব কর। 

'কেষ্টকে গ্রেফতার করলেন কেন? কী করেছিল কেষ্ট? যতবার ভোট হয়েছে ওকে ঘরবন্দি করে রেখেছেন, একটা ভোটেও ওকে বেরোতে দেন না। কেষ্টকে আটকালে কী হবে? গত ২ বছরে কষ্ট পেয়েছে। ওর বউ মারা গিয়েছে। একটা কেষ্টকে ধরলে, লক্ষ কেষ্ট তৈরি হবে। আমি বলি বিচার তো একদিন হবেই', অনুব্রতর গ্রেফতারির পরেই দলনেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় তাঁর হয়ে ময়দানে নামেন। বলা বাহুল্য, আক্রমণ করেছিলেন তিনি বিজেপি সরকারকে।