নিজস্ব সংবাদদাতা, পূর্ব মেদিনীপুরঃ পূর্ব মেদিনীপুর জেলার তাপিন্দা গ্রামের এক দরীদ্র পরিবারের ছেলে মলয় আজ শিক্ষিত বেকার। সবং-এর দশগ্রামের ক্রান্তীগোষ্ঠিই কর্মক্ষেত্র। বাবা মৃত্যুঞ্জয় সাঁতরা পেশায় কৃষক। নিজের শখ ও সম্বলকে ভরসা করে কচিকাচা দের প্রশিক্ষণ দিয়ে কোনো ভাবে সংসার চলে তার। এই কাজ করতে করতে বন্ধু মারফত খবর পায়- ভারত সরকারের সংস্কৃতি মন্ত্রালয় দ্বারা সমর্থিত " RONG 2023"- ২য় সর্ব ভারতীয় আর্ট এন্ড পারফরম্যান্স কম্পিটিশনের। এই প্রতিযোগিতায় ভারতীয় ডাকযোগে "বৈচিত্র্যের মধ্যে ঐক্য" এর উপর একটি ছবি এঁকে পাঠিয়ে দেয় সে। যার মূল থিম ছিল "এক ভারত শ্রেষ্ঠ ভারত"।
পরবর্তী কালে মিনিস্টারি অফ কালচারের পক্ষ থেকে একাধিক বার যোগাযোগের চেষ্টা করে, ভাষা গত সমস্যার কারণে সে যোগাযোগ সাড়া দিতে পারেনি মলয়। আসলে এক প্রত্যন্ত গ্রাম থেকে সে যে প্রথম স্থান পেতে পারে তা কল্পনায় ও ভাবতে পারেনি সে। পরবর্তী কালে সদ্য ডাক মারফত বাড়িতে পৌঁছে গেল ভারত সেরা গোল্ড মেডেল ও সার্টিফিকেট। বিভাগ ষষ্ঠতে প্রথম আট জন পায় গোল্ড মেডেল, পরের আট জন সিলভার এবং তার পর সাত জন পায় ব্রোঞ্জ।
মলয়ের এই সাফল্যে অঙ্কন স্যার লক্ষিকান্ত মান্না বাবু থেকে শুরু করে গ্রামবাসী ও সবাই খুবই উচ্ছসিত। যার প্রেরণায় মলয়ের পথ চলা স্বর্গীয় মৃত্যুঞ্জয় পাল প্রতিষ্ঠিত ক্রান্তি গোষ্ঠীর সঙ্গে যুক্ত মলয়। তারাও মলয়ের এই সাফল্যে গর্বিত। মলয় চায় গ্রামের কচি কাঁচা প্রতিভা গুলো বেশি বেশি করে অংশগ্রহণ করুক সর্ব ভারতীয় প্রতিযোগিতার মত বড় বড় প্লাটফর্মে এবং সুন্দর জায়গা পাক, এ বিষয়ে সে সব রকমের সহযোগিতা করতে প্রস্তুত। শিক্ষক অরিজিৎ দাস অধিকারী জানান, গ্রাম্য প্রতিভার এমন স্বকৃতি অনেকেই উদ্বুদ্ধ করবে। ভাষাগত সমস্য না থাকলে মিনিস্ট্রী অফ কালচ্যারের মঞ্চ থেকেই গ্রাম্য প্রতিভা ভারত সেরা সম্মানে সম্মানিত হত। প্রতিভার স্ফুরনে শহর গ্রামের প্রতিযোগিতা নয় বরং থাকুক সহযোগীতার বাতাবরন।