নিজস্ব সংবাদদাতা, ঝাড়গ্রাম: অরণ্য ঘেরা ঝাড়গ্রাম, আর এই ঝাড়গ্রামে নানান গ্রামে বিভিন্ন রকমের হাতের জিনিস তৈরি করেই জীবন -যাপন করেন বহু পরিবার। ঝাড়গ্রামের নোয়াঁগা গ্রাম , এই গ্রামে প্রায় ১০০ কুম্ভকার পরিবারের বসবাস, তাদের মধ্যে প্রায় ৪০ থেকে ৫০ টি পরিবার মাটির জিনিসপত্র তৈরি করে,তা বাজারে বিক্রি করে চলে জীবন যাপন, কিন্তু আজ সেই কুম্ভকার পরিবার গুলির মাথায় হাত, রুজি রোজগারে টান পড়েছে কুম্ভকার পরিবারগুলি।, দৈনিন্দিন জীবনে বেড়েছে প্লাস্টিকের জিনিসপত্রের ব্যবহার। যার কারণে আজ প্রায় বিলুপ্ত হচ্ছে মাটির তৈরী জিনিসপত্রের।
/anm-bengali/media/post_attachments/daf08024-805.png)
বাজারে প্লাস্টিকের জিনিসপত্রের চাহিদা বাড়ায় মাটির তৈরি জিনিসপত্রের বিক্রি দিনের পর দিন কমে যাচ্ছে বর্তমানে মাথায় হাত ঝাড়গ্রামের কুম্ভকরদের, বিক্রি কমে যাওয়ায় পড়ে পড়ে নষ্ট হচ্ছে মাটির তৈরি জিনিস, কমেছে বিক্রির হার সংসারে বেড়েছে টানাপড়েন। এভাবেই কোন রকমের দিন গুজরাচ্ছেন সাঁকরাইল এর নয়াঁগা গ্রামের কুম্ভকার পরিবারগুলি। তারা চায় তাদের পাশে দাঁড়াক প্রশাসন।
/anm-bengali/media/post_attachments/e57c0d39-308.png)
জেলায় এক সময় তৈজসপত্রের চাহিদা পুরণ করত মাটির তৈরি হাড়ি, পাতিল, কলসি, থালা (সানকি), কুয়ার পাট, নানা ধরণের খেলনা, বিভিন্ন পিঠা তৈরির খরমা (সাজ) ইত্যাদির যথেচ্ছ ব্যবহার ছিল। গ্রাম্য মেলা ও হাট-বাজারে মাটির তৈরি ওইসব পণ্য শোভা পেত। বর্তমানে মৃৎশিল্প উন্মুক্ত বাজার প্রতিযোগিতায় টিকে থাকতে না পেরে হারিয়ে যেতে বসেছে। অত্যাধুনিক প্লাস্টিক, অ্যালুমোনিয়াম ও মেলামাইনের তৈজসপত্রের দাপটে এ শিল্প প্রায় বিলুপ্ত।
/anm-bengali/media/post_attachments/85c86d1c-a4d.png)
ফলে জেলার প্রতিভাবান মৃৎ শিল্পীরা অর্থাভাবে মানবেতর জীবন কাটাচ্ছে। কেউ কেউ ইতোমধ্যে ভিন্ন পেশায় চলে গেছে। যদিও এই কুম্ভকার পরিবার গুলির পাশে দাঁড়ানোর আশ্বাস দিয়েছেন ব্লক প্রশাসন।