পশ্চিমবঙ্গের মেদিনীপুর জেলার পিংলার পট এখন জগত বিখ্যাত। সেখানে নবতম সংযোজন মাটির জিনিসে চিত্র। অনেকেই এতে আগ্রহী হচ্ছেন।পটুয়াদের বক্তব্য, কেবল মাটির হাঁড়ি বা কলসি কিনতে চায় না মানুষ। তবে সেটাকেই শিল্পের ছোঁওয়া দিলেই মানুষ নিতে আগ্রহী হয়।
দিগ্বিজয় মাহালী, পশ্চিম মেদিনীপুর : ভ্যাপসা গরমে তেষ্টা মেটাতে ঠাণ্ডা জল খাওয়ার প্রবণতা বাড়ছে। এদিকে ফ্রিজের জল খেয়ে ঠান্ডা গরমে লাগছে সর্দি। হচ্ছে কাশি। বিকল্প হিসেবে তাই গুরুত্ব বাড়ছে মাটির কলসির। কারণ মাটির কলসিতেও জল ঠান্ডা থাকে। এতে যেমন ফ্রিজ ছাড়াই ঠাণ্ডা জল পাবেন, শরীর খারাপের সম্ভাবনাও কম। বিক্রি বাড়াতে তাই মাটির হাঁড়ি, কলসিগুলিকে নতুন রূপ দিচ্ছেন পশ্চিম মেদিনীপুর জেলার পিংলার পটশিল্পীরা। নতুন রূপে সেজে উঠছে মাটির কলসি, হাঁড়িগুলি যাতে তা মানুষের নজরে আসে। শুধু জল রাখা নয়, ঘরের শোভাও বাড়াতেও মাটির কলসী, হাঁড়িগুলির গায়ে তুলির আঁচড়ে নানান ছবি ফুটিয়ে তুলছেন পটুয়ারা। পশ্চিমবঙ্গের মেদিনীপুর জেলার পিংলার পট এখন জগত বিখ্যাত। সেখানে নবতম সংযোজন মাটির জিনিসে চিত্র। অনেকেই এতে আগ্রহী হচ্ছেন। পটুয়াদের বক্তব্য, কেবল মাটির হাঁড়ি বা কলসি কিনতে চায় না মানুষ। তবে সেটাকেই শিল্পের ছোঁওয়া দিলেই মানুষ নিতে আগ্রহী হয়। আর গরমে মাটির পাত্রের জল বেশ ঠাণ্ডাও হয়। সমাজব্যবস্থার উন্নতির সাথে সাথে দৃষ্টনন্দিত জিনিসেরও চাহিদা বাড়ছে মানুষের মধ্যে। সেক্ষেত্রে কম দামে উপকারী জিনিস হিসেবে আগ্রহ বাড়াচ্ছে নকশা করা মাটির কলসি-কুঁজো-হাঁড়ির।