হরি ঘোষ, বীরভূম: গঙ্গাসাগরে সরকারি পরিবহণ পরিষেবার ব্যাপকতা থাকলেও 'ব্রাত্য' থেকে গেল অজয়। প্রাচীনতম মেলায় পৌঁছাতে দুর্ভোগের মুখে পড়তে হচ্ছে পুণ্যার্থীদের। বোঝাই যাচ্ছে সরকারি পরিষেবার কি হাল, সমালোচনায় সরব বিরোধীরা।
১৪৪ বছর পর মহাকুম্ভ নিয়ে সরগরম গোটা দেশ। বাংলায় পাশাপাশি মকরের দিন এই রাজ্যের গঙ্গাসাগরে পূণ্য স্নানের রেওয়াজ বিশ্ব জুড়ে। আবার মকরের ভোরে কবি জয়দেবের পীঠস্থান বীরভূমের কেন্দুলিতে অজয়ে ডুব দেওয়ার জন্যেও লক্ষ লক্ষ মানুষের ভিড় হয়। মকরের ভোরে অজয়ে জলে স্নান করলে তা গঙ্গা স্নানের সমান বলে কথিত। তাই পশ্চিম বর্ধমান, বাঁকুড়া, পুরুলিয়া থেকেও বহু মানুষ আসেন পূণ্য স্নানে। অংশ নেন জয়দেব মেলায়। গঙ্গাসাগরে ৩৫০ সরকারি বাস চললেও জয়দেব মেলায় 'অভাব' এসবিএসটিসি বাসের। রুটের বাসকে জয়দেব মেলা পর্যন্ত 'টেনে' নিয়ে গিয়ে কোনোরকমে গণ পরিবহন পরিষেবা চালু রাখার চেষ্টা। মঙ্গলবার থেকে শুরু স্নান। সাগর মেলায় পুণ্যার্থীদের সুবিধার জন্য শুরু হয়েছে দুই রাষ্ট্রীয় পরিবহন সংস্থার প্রায় ৩৫০ বাস। আর জয়দেবের মেলায় সরকারি বাসের অভাবে বাংলার প্রাচীনতম মেলায় আসতে দুর্ভোগের মুখে সাধারণ মানুষ। দুর্গাপুর স্টেশন থেকে কাঁকসার শিবপুর পর্যন্ত ৪২টি বেসরকারি বাসের ব্যবস্থা হয়েছে রবিবার থেকেই। বহু মানুষের ভিড় সেই বাসে। কিন্তু সরকারি বাস না থাকায় ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন পূণ্যার্থীরা।
সমালোচনায় সরব হয়ে বর্ধমান সদরের বিজেপির সহ-সভাপতি রমন শর্মা বলেন, "দুর্গাপুর এই এসবিএসটিসির ডিপো। আর দুর্গাপুরের শেষ প্রান্তে কেন্দুলীর মেলার জন্য একটাও বাস নেই। এটা সরকারের ব্যর্থতা। এর থেকে লজ্জা আর কি হতে পারে।" এই বিষয়ে এসবিএসটিসির চেয়ারম্যান সুভাষ মণ্ডল জানান, " জয়দেব মেলাও ঐতিহাসিক স্থান। বাঁকুড়া, বর্ধমান থেকে বহু মানুষ আসেন। এর জন্য এসবিএসটিসির বীরভূম থেকে কলকাতাগামী বাস জয়দেব হয়ে যাবে। বাঁকুড়া, বর্ধমান, পুরুলিয়ার যে সব বাস দুর্গাপুর আসে সেই বাসও জয়দেব হয়ে যাবে। প্রশাসনের সঙ্গে আলোচনা করেই এটা ঠিক করা হয়েছে।"