মাঠের মধ্যে দাউ দাউ করে পুড়ছে খড় : কিসের আভাস দিলো কৃষকরা?

হরিয়ানা জেলার কাইথাল অঞ্চলে খড় পোড়ানোর ঘটনা ঘটেছে, যা পরিবেশের জন্য বিপজ্জনক। এতে বায়ুদূষণ বাড়ছে এবং মাটির উর্বরতা কমছে, যা কৃষকদের দীর্ঘমেয়াদী উৎপাদনশীলতায় প্রভাব ফেলতে পারে।

author-image
Debapriya Sarkar
আপডেট করা হয়েছে
New Update

নিজস্ব সংবাদদাতা : হরিয়ানার কাইথাল জেলা কৃষি উৎপাদনের জন্য বিখ্যাত। তবে, এখানে একটি সাধারণ ঘটনা ঘটেছে, যেটি পরিবেশের জন্য উদ্বেগের কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে—এটি হলো খড় পোড়ানোর ঘটনা। কৃষকরা তাদের ফসল কাটার পর খড় বা শুকনো ঘাস সাধারণত জমিতে পড়ে থাকে। খড় পোড়ানো একদিকে যেমন কৃষকদের জন্য একটি তৎকালিক সমাধান হতে পারে, তেমনি এর দীর্ঘমেয়াদী পরিবেশগত প্রভাব ক্ষতিকর হতে পারে।

publive-image

কাইথালের মাঠে খড় পোড়ানোর ঘটনার পিছনে অনেক কারণ থাকতে পারে। এক্ষেত্রে কৃষকরা মূলত খড়ের স্তূপ বা আগাছা দ্রুত ধ্বংস করার জন্য এই পদ্ধতি ব্যবহার করেন, বিশেষত যখন তাঁরা জমি প্রস্তুত করতে চান। কিছু কৃষক হয়তো এটাকে সময় বাঁচানোর একটি উপায় হিসেবে দেখতে পারেন, কারণ খড় পোড়ানো দ্রুত জমি পরিষ্কার করে। তবে, এই খড় পোড়ানোর প্রক্রিয়া বায়ুদূষণ বাড়ায় এবং ক্ষতিকর গ্যাস যেমন কার্বন মনোক্সাইড, মিথেন এবং নীত্রোজেন অক্সাইড নিঃসৃত করে, যা বাতাসের গুণগত মানকে প্রভাবিত করে এবং আশেপাশের বাস্তুতন্ত্রের জন্য ক্ষতিকারক।

publive-image

এছাড়াও, খড় পোড়ানোর ফলে মাটির উর্বরতা কমে যেতে পারে। খড় পোড়ানোর ফলে মাটির অমূল্য জৈব পদার্থ পুড়ে চলে যায়, যা মাটির জীববৈচিত্র্য এবং মাটির গঠনকে নষ্ট করতে পারে। ফলে, কৃষকদের জন্য দীর্ঘমেয়াদী উৎপাদনশীলতা কমে যাওয়ার সম্ভাবনা থাকে।

publive-image

হরিয়ানা সরকার এবং পরিবেশবিদরা খড় পোড়ানোর বিরুদ্ধে নানা প্রচেষ্টা চালিয়ে আসছে। কৃষকদের সচেতন করতে তারা ভিন্ন ধরনের কৃষি পদ্ধতি যেমন কম্পোস্টিং, খড়ের ব্যবহার ও পুনর্ব্যবহার এবং উপযুক্ত কৃষি প্রযুক্তি ব্যবহার করতে উৎসাহিত করছে। তবে, এই ধরনের পরিবেশগত ক্ষতি রোধ করার জন্য সরকারের পাশাপাশি কৃষকদেরও সচেতন হতে হবে।