ক্লাসরুমে বইয়ের জায়গায় শতাধিক জুতো!

বন্ধ ক্লাসরুমের বাইরে ঝুলছে তালা। কিন্তু স্কুলের ভেতরে বাক্স ভর্তি জুতো পোকায় কেটে নষ্ট করছে। এই ঘটনায় ক্ষুব্ধ অভিভাবকরা। স্কুল কর্তৃপক্ষের উদাসীনতা নিয়েও প্রশ্ন উঠেছে।

author-image
Shroddha Bhattacharyya
New Update
34t

নিজস্ব সংবাদদাতা: ক্লাসরুমে নেই শিক্ষার্থী। তালা ঝুলছে স্কুলের গেটে। শিক্ষকের অভাবে স্কুলে তালা পড়েছে বহুদিন আগেই। বন্ধ ক্লাস রুম জুড়ে এখন শুধুই জুতোর স্তূপ। সম্প্রতি এমনই ছবি দেখা গিয়েছে হাওড়ার ডোমজুড় বিধানসভা এলাকার পায়রাটুঙ্গি মাধ্যমিক শিক্ষাকেন্দ্রে। এই ঘটনায় ইতিমধ্যেই চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে এলাকায়। গোটা ঘটনায় ক্ষুব্ধ অভিভাবক-সহ স্থানীয় মানুষ।
সূত্রের খবর, সরকারি উদ্যোগে বিনা পয়সায় জুতো বিতরণের কথা ছিল এলাকার গরীব ছাত্র-ছাত্রীদের। কিন্তু সেই উদ্যোগ আদতে বাস্তবায়িত হয়নি। অভিযোগ উঠেছে, সেই জুতোগুলি এখন অবহেলায় পড়ে নষ্ট হচ্ছে।
স্কুলটি জুতোর গুদামে পরিণত হওয়ায় উদ্বিগ্ন অভিভাবকরা। স্কুল কর্তৃপক্ষের উদাসীনতা নিয়েও প্রশ্ন উঠেছে।
মাকড়দহ দু'নম্বর গ্রাম পঞ্চায়েতের প্রধান তনুশ্রী কর্মকার বলেন, 'এই ভাবে এত জুতো নষ্ট হওয়াটা ঠিক নয়।' স্থানীয় বাসিন্দা রশিদ আহমেদ জানান, এই মাধ্যমিক শিক্ষা কেন্দ্রটি তৈরির পিছনে গ্রামবাসীদের অনেক অবদান রয়েছে। এটি আবার চালু হোক তা সবাই চাইছেন।
আরও জানা গেছে যে ২০১৮ সালের পর থেকে একে একে শিক্ষকেরা অবসর নিয়েছেন। এর পর স্কুলের প্রধান শিক্ষকের মৃত্যু হয়। এর ফলে ওই স্কুলের এক শিক্ষিকা সম্পূর্ণ একা হয়ে পড়েন। তাঁর একার পক্ষে ৮০ জন পড়ুয়াকে নিয়ে স্কুল চালানো কার্যত অসম্ভব হয়ে পড়ে। তাই উনি সরে দাঁড়ান। ফলত পঠন-পাঠন বন্ধ হয়ে যায় স্কুলটিতে।
তিনি আরও বলেন, 'কয়েক বছর আগে বিভিন্ন প্রাইমারি স্কুলে ছাত্র-ছাত্রীদের জুতো দেওয়ার জন্য সেগুলি এখানে মজুত করা হয়েছিল। কিছু স্কুলে জুতো বিতরণ করা হয়। কিন্তু তার পর থেকে সেই জুতোগুলি এখানে পড়েই রয়েছে।'

 

add 4.jpeg

cityaddnew

স

স