গরীব মানুষের টাকা আত্মসাৎ করেছেন TMC কর্মী! বিড়ম্বনায় দল

TMC : উচ্ছেদের নোটিস পেয়ে এখন রাতের ঘুম উড়েছে দুর্গাপুরের (Durgapur) বহু মানুষের। শহর দুর্গাপুরের বেশ কিছু জায়গা থেকে এই অসহায় মানুষজন নিশ্চিত মাথা গোঁজার ঠাঁই পেতে রাজ্য সরকারের সংস্থা ডিপিএল (DPL) টাউনশিপে এসেছিলেন।

author-image
Pritam Santra
New Update
tmc

নিজস্ব সংবাদদাতাঃ উচ্ছেদের নোটিস পেয়ে এখন রাতের ঘুম উড়েছে দুর্গাপুরের (Durgapur) বহু মানুষের। শহর দুর্গাপুরের বেশ কিছু জায়গা থেকে এই অসহায় মানুষজন নিশ্চিত মাথা গোঁজার ঠাঁই পেতে রাজ্য সরকারের সংস্থা ডিপিএল (DPL) টাউনশিপে এসেছিলেন। অভিযোগ, স্থানীয় তিন প্রভাবশালী (TMC) এদের কাছ থেকে মোটা অংকের টাকা নিয়ে সরকারি আবাসনে জায়গা করে দেওয়ার জন্য কথা দিয়েছিল। সেই অনুযায়ী দিন আনা দিন খাওয়া এই মানুষজন জীবনের শেষ সম্বলটুকু বিক্রি করে কেউ ৪০, কেউ ৫০ হাজার টাকা দিয়ে ডিপিএল সমবায় সমিতির সামনে সি টাইপ ও ই টাইপ আবাসনে ঢুকে পড়েন। বিনা পয়সায় জল, বিদ্যুৎও ব্যবহার করতে থাকেন। 

অভিযোগ, স্থানীয় তিন প্রভাবশালীর পাতা ফাঁদে পা দিয়ে বিপাকে পড়েছেন তাড়া। এখন অসহায় এই পরিবারগুলি। ইতিমধ্যে ডিপিএল কর্তৃপক্ষ আবাসনগুলি ফাঁকা করার নির্দেশ দিয়েছে। তিন দিনের মধ্যে আবাসন ফাঁকা না করলে পুলিশ দিয়ে উঠিয়ে দেওয়ার হুমকি দেওয়া হয়েছে। অভিযোগ লক্ষণ লামা, জনৈক বিশু ও বাবু এরা নিজেদের তৃণমূল কর্মী বলে পরিচয় দিয়ে এই টাকা নিয়েছিলেন। এখন ডিপিএলের এই উচ্ছেদ নোটিস দেখে তারা দায় এড়িয়ে যাচ্ছেন। অভিযুক্ত লক্ষণ লামা সক্রিয় তৃণমূল কর্মী স্বীকার করে নিয়েছেন স্থানীয় প্রাক্তন তৃণমূল কাউন্সিলার সুভাষ মজুমদার। তৃণমূলের মিছিল মিটিং-এ থাকেন বলেও মেনে নিয়েছেন এই তৃণমূল নেতা । দলীয় সক্রিয় কর্মীকে বাঁচাতে ডিপিএল কর্তৃপক্ষের দিকে পাল্টা অভিযোগ করেছেন তৃণমূল নেতা সুভাষ মজুমদার। অবৈধ দখলদার উচ্ছেদে ধারাবাহিক অভিযান চলবে বলে পাল্টা প্রতিক্রিয়া ডিপিএলের জনসংযোগ আধিকারিক স্বাগতা মিত্রর। 

অভিযোগ, লক্ষণ লামা সহ অভিযুক্তরা প্রত্যেকেই স্থানীয় প্রাক্তন তৃণমূল কাউন্সিলর সুভাষ মজুমদারের অনুগামী বা অত্যন্ত ঘনিষ্ঠ। দল অন্যায়ের সাথে আপোষ করবে না, পাল্টা প্রতিক্রিয়া জেলা তৃণমূল কংগ্রেসের সহ সভাপতি উত্তম মুখোপাধ্যায়ের। শাসক দলকে পাল্টা তুলোধোনা করেছেন বিজেপি বিধায়ক লক্ষণ ঘোড়ুই ও জেলা সিপিএমের সম্পাদক মন্ডলী সদস্য পঙ্কজ রায় সরকার। সব মিলিয়ে দুর্গাপুর পুরভোটের আগে সরকারি সংস্থার আবাসন কেনা বেচার অবৈধ লেনদেনের ঘটনার অভিযোগে বিড়ম্বনা বেড়েছে শাসক শিবিরে।