নিজস্ব প্রতিনিধি, পশ্চিম মেদিনীপুর: কী দোষ ছিল মেয়েটার? মনে অনেক স্বপ্ন নিয়ে ঘর বাঁধতে এসেছিল মেয়েটা। তারই শেষ ঠিকানা হল সেপটিক ট্যাঙ্ক।
গত ১৭ তারিখে নথিভুক্ত হওয়া একটি অপহরণ মামলার তদন্তে নেমে শালতোড়া থানার তদন্তকারি আধিকারিকেরা ঢেঁকিয়ার ঘটনাস্থলে পৌঁছে তালাবন্ধ ঘরে ঢুকে রক্তের দাগ দেখে বুঝতে পারে এটি শুধুমাত্র অপহরণের মামলা নয়। বাড়ির গৃহকর্তা আর গৃহকর্ত্রী কোথায়? ওদের খোঁজে গঠন করা হয় একটি বিশেষ দল। অনেক চেষ্টার পরে বিষ্ণুপুর থানা এলাকায় সন্ধান পাওয়া যায় অপহৃতা মোনালিসার শ্বশুর সুজিত ঘটক আর শ্বাশুড়ি ইতু ঘটকের। কিন্তু মোনালিসা কোথায়?
জিজ্ঞাসাবাদে অসংগতি লক্ষ্য করে প্রশ্নের বাণ তীক্ষ্ম করলে দু'জন স্বীকার করে নেয় অপরাধের কথা। তাদের ছেলের অবর্তমানে মাছ কাটার ধারালো বটি দিয়ে মোনালিসাকে খুন করে একটি সেপটিক ট্যাঙ্কের মধ্যে ফেলে দিয়েছে দেহ। গ্রামবাসীদের সহায়তায় ঐ সেপটিক ট্যাঙ্ক থেকে দেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য পাঠানো হয়। ইতু ঘটক আর সুজিত ঘটককে গ্রেফতার করে আদালতে হাজির করানো হলে আদালত পাঁচ দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেছেন। কিন্তু কী কারণে এই হত্যা? উত্তর জানতে তদন্ত চলছে।