নিজস্ব সংবাদদাতা, মেদিনীপুরঃ দীর্ঘ অপেক্ষার অবসান ঘটিয়ে স্কুল সার্ভিস কমিশনের নিয়োগ দুর্নীতি কাণ্ডের ঐতিহাসিক রায় দিল কলকাতা হাইকোর্ট। মেয়াদ উত্তীর্ণ হওয়ার পর কোনও চাকরির কোন বৈধতা নেই,জানিয়ে দিয়েছে বিচারপতি দেবাংশু বসাকের ডিভিশন বেঞ্চ। একইসঙ্গে ২৩ হাজার ৭৫৩ জনের চাকরি বাতিল করা হয়েছে।
এই মামলার রায়ে আরও বলা হয়েছে যে, আগামী ৪ সপ্তাহের মধ্যে নিজ নিজ জেলার সরকারী ট্রেজারী ব্যাঙ্কে সম্পূর্ণ অর্থ ফেরত দিতে হবে। চাকরীর শুরু থেকে এযাবৎ কালের পাওয়া পাই পাই বেতনের পুরো টাকা ফেরত দিতে হবে। এমনই নির্দেশ দিয়েছে হাইকোর্ট।
এই রায়ের প্রতিলিপি আজই দেশের সর্বোচ্চ আদালত সুপ্রীম কোর্টে পাঠিয়ে দেওয়া হয়েছে। কলকাতা হাইকোর্টের এই রায়কে মান্যতা দিয়ে মেদিনীপুর লোকসভা কেন্দ্রের বিজেপি প্রার্থী অগ্নিমিত্রা পাল বলেন - '' আজকে পশ্চিবঙ্গের মানুষের জন্য অত্যন্ত লজ্জার দিন। যে পশ্চিমবঙ্গকে শিক্ষা-সংস্কৃতির জন্য জানা যেত, আজ সেই পশ্চিমবঙ্গে তৃণমূল সরকারকে যারা ঘুস দিয়ে চাকরী পেয়েছে সেই পুরো ২০১৬ সালের প্যানেলকে বাতিল করলো হাইকোর্ট। যারা টিএমসির নেতা মন্ত্রী কর্মীকে টাকা দিয়ে চাকরী পেয়েছিলেন, তাদের বাড়ি ঘেরাও করুন। জিজ্ঞেস করুন আপনাদের চাকরী কেন গেল ? এফ.আই.আর করুন তাদের নামে। এর দায় মুখ্যমন্ত্রীকে নিতে হবে। ''
তিনি আরও বলেন যে, '' পার্থবাবু জেলায় জেলায় এজেন্ট ফিক্স করে চাকরী চুরির টাকা এই এজেন্টের মাধ্যমে মমতা ব্যানার্জী আপনার পুলিশের গাড়ি করে কলকাতায় আসতো। এই টাকা কালীঘাটে গেছে, শান্তিনিকেতনে গেছে। আপনি আমাদের সমাজ ও ভবিষ্যত শেষ করে দিয়েছেন। এর কোনো ক্ষমা নেই। মুখ্যমন্ত্রীর সিবিআই তদন্ত করা হোক। মেদিনীপুরে টিএমসি প্রার্থী মুখ্যমন্ত্রীর প্রতিনিধি, তাঁকে জিজ্ঝেস করুন আপনাদের চাকরী কেন গেছে। অন্যায় হলে বাংলার মানুষ রুখে দাঁড়াবে। ''