নিজস্ব সংবাদদাতা: পাঁচ দিন ধরে চলে কোজাগরী লক্ষীপুজো। রীতি মেনে লক্ষ্মী ছাড়াও একাধিক দেব দেবীর মূর্তি পুজিত হয় এখানে। এই কোজাগরী লক্ষ্মী পুজো অনুষ্ঠিত হয় মালদহ শহরের কোঠাবাড়ি রায় পরিবারে। এই বছর রায় পরিবারের পুজো ৮৬ বছরে পড়ল। নিয়ম মেনে পুজোর আগের দিন স্থানীয় তিনশো বিশ মোড়ে মেলার আসর বসে। পুজোর প্রথমদিন রাতভোর অনুষ্ঠিত হয় লক্ষীপুজো।
পাঁচ দিনের এই লক্ষীপুজো হয় পুরনো ঠাকুর দালানে। আজও নিয়ম নিষ্ঠা মেনে পুজো করে আসছেন বর্তমান প্রজন্ম। এই পুজোর বিশেষ আকর্ষণ হল একটি চালির মধ্যেই দেবী লক্ষী সহ অন্যান্য দেব দেবীদের বসানো হয়। মাঝে থাকেন দেবী লক্ষী। সবার উপরে ব্রহ্মা, বিষ্ণু ও মহেশ্বর। লক্ষ্মী দেবীর মাথার ওপরে দুই পাশে রাম ও লক্ষণ। ডানদিকে গণেশ লক্ষ্মী বাঁদিকে থাকেন সরস্বতী কার্তিক।
পাঁচ দিন ধরে নিষ্ঠার সঙ্গে পুজো হওয়ার পর মহানন্দা নদীতে নৌকায় করে নিয়ে যাওয়া হয় সদরঘাটে। সেই দিন সদরঘাটে মেলা হয়। সদরঘাট থেকে নৌকায় আবার কোঠাবাড়ি ঘাটে নিয়ে এসে দেবী লক্ষ্মীর বিসর্জন হয়।
পরিবার সূত্রে জানা গিয়েছে, ৮৬ বছর আগে ক্ষিতীশ চন্দ্র রায় এই পুজো শুরু করেছিলেন। প্রথম থেকেই পরিবারের কুল দেব-দেবীদের লক্ষ্মী দেবীর মূর্তির সঙ্গে স্থান দেওয়া হয়। একই সঙ্গে পুজিত হন তাঁরা। সেই রীতি আজও বহাল। বর্তমানে শুধুমাত্র পুজো মেলায় অনুষ্ঠিত হয়। তবে এক সময় এই পুজোকে ঘিরে গম্ভিরা বাউল গানের আসর বসত। পাঁচ দিন ধরে চলতো বিভিন্ন সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান গোটা বাড়ি জুড়ে। বর্তমানে জায়গা অনেক কমে গেছে। ঘিঞ্জি পরিবেশ, তাই সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান আর সম্ভব হয় না। তবে নিষ্ঠার সাথে হয়ে আসছে এই লক্ষ্মীপুজো।