নিজস্ব সংবাদদাতা: আরজি কর কাণ্ডের আবহেই জয়নগরে এক চতুর্থ শ্রেণির ছাত্রীকে ধর্ষণ করে খুনের অভিযোগ উঠল। এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে উত্তপ্ত হয়ে উঠেছে জয়নগর। ঘটনার পর গ্রামবাসীরা শনিবার থেকে দফায় দফায় বিক্ষোভ করছেন। রবিবারও গ্রামবাসীরা বিচারের দাবিতে পথে নেমেছেন। মেধাবী ছাত্রীর এই পরিণতি কোনওভাবেই মেনে নিতে পারছেন না নির্যাতিতার গৃহশিক্ষিকা। বিচারের দাবিতে তিনিও পথে নামেন। তিনি সেই মিছিল থেকে অভিযুক্তের কঠোর শাস্তির দাবি জানান।
প্রসঙ্গত, শুক্রবার রাতে নাবালিকার দেহ উদ্ধার করা হয়। শনিবার থেকে উত্তপ্ত হয়ে ওঠে কুলতলি। পরিবারের তরফে অভিযোগ করা হয়েছে, সন্ধ্যা থেকেই তাঁদের মেয়েকে খুঁজে পাওয়া যাচ্ছিল না। শুরু থেকে পুলিশ গুরুত্ব দিলেন, মেয়েটার এই পরিণতি হতো না। অন্যদিকে, পুলিশের তরফে জানানো হয়েছে, অভিযুক্ত খুনের ঘটনা স্বীকার করেছে। কিন্তু ধর্ষণের ঘটনা স্বীকার করেনি। অন্যদিকে, হাইকোর্টে পুলিশের ভূমিকা নিয়ে অসন্তোষ প্রকাশ করেছে বিচারপতি। বিচারপতি তীর্থঙ্কর ঘোষের বেঞ্চে ভর্ৎসিত হয় পুলিশ। রাজ্যের তরফে বলা হয় কোনও কেন্দ্রীয় হাসপাতালে ময়নাতদন্তের নির্দেশ দেওয়ার ক্ষমতা রাজ্যের নেই। এই মামলায় বিচারপতি বলেন, নির্যাতিতার বয়স ১০ বছর। স্বাভাবিকভাবেই পকসো আইন যুক্ত হওয়ার কথা। বিচারপতি প্রশ্ন করেন, “সুরতহাল বা ইনকোয়েস্ট রিপোর্ট দেখেও কেন আপনারা পকসো যুক্ত করেননি?”