নিজস্ব সংবাদদাতা, চন্দ্রকোণাঃ গ্রামের বেশিরভাগ পরিবারই চোলাই মদের কারবারের সাথে যুক্ত। আর সেই চোলাই মদ খেয়েই গুরুতর অসুস্থ হয়ে হাসপাতালে চিকিৎসাধীন গ্রামেরই এক যুবক। এই ঘটনায় টনক নড়ল গ্রামের মহিলাদের, গ্রাম থেকে চোলাই মদের কারবার বন্ধ করতে তৎপর হল তারা। হঠাৎ করেই গ্রামের মহিলারা একত্রিত হয়ে হাতে লাঠি নিয়ে গ্রামের যে সমস্ত বাড়িতে চোলাই কারবার করা হয় সেই সমস্ত বাড়িতে অভিযান চালাল তারা। চোলাই মদ উদ্ধার করে নষ্ট করল তারা। এদিন চোলাই উচ্ছেদে গিয়ে প্রমীলা বাহিনীর মহিলাদেরই শুনতে হল যে তারা নিজেরাই চোলাই মদের কারবার করে, আবার কেন তারা চোলাই উচ্ছেদ করতে আসছে ? এই নিয়য়ে উভয় পক্ষের মধ্যে শুরু হয় তুমুল বাকবিতণ্ডা।
এমনই ঘটনা পশ্চিম মেদিনীপুর জেলার চন্দ্রকোনা পৌরসভার ১১ নম্বর ওয়ার্ডের দক্ষিণবাজার এলাকায়। জানা য়ায় দীর্ঘদিন ধরে এই গ্রামে রমরমে চলছিল চোলাই মদের কারবার। এক যুবক চোলাই খেয়ে অসুস্থ হওয়ার কারণে গ্রামের প্রমিলা বাহিনীরা তৎপর হল।তাদের দাবি মদ খেয়ে বাড়িতে অশান্তি শুরু হচ্ছে,গ্রামের ছেলের অসুস্থ হচ্ছে,তাই তারা চোলাই মদ তৈরি -বিক্রি বন্ধ করবে এলাকা থেকে। যদিও চোলাই কারবারিদের একাংশের দাবি, প্রমিলা বাহিনীর নামে চোলাই বন্ধ করতে আসা অনেক মহিলার বাড়িতেও চোলাই মদ তৈরি হয় তারা তাদের ব্যবসা আড়াল করতে একজোট হয়ে। বেছে বেছে কয়েকজনের বাড়িতে হামলা চালানো হয়েছে।চোলাই বন্ধ করতে হলে সবার বাড়িতেই বন্ধ করতে হবে, তাতে আমরাও সহমত দাবি চোলাই কারবারিদের একাংশের। চন্দ্রকোনা পৌর এলাকায় চোলাই মদের কারবার বন্ধে আবাগারি দপ্তর ও স্থানীয় পুলিশ প্রশাসনের নিষ্ক্রিয়তায় ক্ষুব্ধ এলাকাবাসী। গ্রাম থেকে উঠুক চোলাই কারবার চাইছেন গ্রামের বাসিন্দারা।