নিজস্ব সংবাদদাতা, পশ্চিম মেদিনীপুরঃ দানার তাণ্ডবে ধান চাষে ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে। কার্যত মাথায় হাত চাষিদের। অপরদিকে ভেঙে পড়েছে ইলেকট্রিক খুঁটি ও গাছ। এই বিষয়ে মুখ্যমন্ত্রীকে সার্বিক রিপোর্ট দেওয়া হয়েছে জানালেন পশ্চিম মেদিনীপুর জেলার জেলাশাসক খুরশেদ আলি কাদেরী ও সেচমন্ত্রী মানস রঞ্জন ভুঁইয়া।
উল্লেখ্য, গত মাসে ডিভিসির জলে ছাড়ায় বন্যার ধাক্কা এখনও সামলে উঠতে পারেনি জেলার বিস্তীর্ণ অঞ্চলের চাষিরা ৷ তার মধ্যেই ফের দানার প্রভাবে ঝড়-বৃষ্টিতে ক্ষতির পরিমাণ প্রায় দ্বিগুণ হল ৷ আমন ধান চাষে সবচেয়ে ক্ষতিগ্রস্ত মুখে পড়তে হল বাংলা- উড়িষ্যার সীমান্ত পশ্চিম মেদিনীপুর জেলার দাঁতন, কেশিয়াড়ী এলাকার চাষিদের।
জানা গিয়েছে, দানার প্রভাবে গতকাল রাত থেকে ঝোড়ো হাওয়া ও বৃষ্টির কারণে বিঘার পর বিঘা জমি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। কোথাও জলে ডুবে রয়েছে ধান জমি। দাঁতনের অধিকাংশ সাধারণ মানুষ ধান চাষের উপরে নির্ভরশীল। এই মতো অবস্থায় মাথায় হাত পড়েছে ধান চাষিদের৷
পশ্চিম মেদিনীপুর জেলার জেলা শাষক খুরশেদ আলি কাদেরী জানান, '' জেলার ক্ষতির পরিমান মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে জানানো হয়েছে। ৩০ টি ইলেকট্রিক খুঁটি ভেঙেছে। মাটির বাড়ি ভেঙেছে, পাশাপাশি চাষের ক্ষতি হয়েছে। যাদের চাষের ক্ষতি হয়েছে তা শষ্য বিমার মধ্য দিয়ে ক্ষতিপূরণ দেওয়া হবে। ''
অপরদিকে দীঘা এলাকা পরিদর্শন করে দাঁতন যাওয়ার পথে রাজ্যের মন্ত্রী মানস রঞ্জন ভুঁইয়া জানান, '' পশ্চিম মেদিনীপুর জেলায় যথেষ্ট প্রভাব পড়েছে। দুদিন দীঘায় ছিলাম। সমস্ত কিছু নজরদারি করেছি। এবার মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের নির্দেশে দাঁতন, কেশিয়াড়ী, নারায়নগড়, মোহনপুর যাচ্ছি। সমস্ত ক্ষয় ক্ষতির পরিমাণের তালিকা তৈরি করা হচ্ছে, মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে রিপোর্ট দেওয়া হবে।