নিজস্ব সংবাদদাতাঃ দুর্গাপূজার পরে দূষণ ভারতে একটি উদ্বেগজনক বিষয় হয়ে উঠেছে। এই উৎসব, যেটি ঐশ্বর্যের সাথে উদযাপিত হয়, প্রায়শই পরিবেশগত সমস্যার পথ তৈরি করে। পরবর্তী সময়ে বাতাস এবং জল দূষণের মাত্রা বেড়ে যায় যা জনস্বাস্থ্যকে প্রভাবিত করে। বিশেষজ্ঞরা এই প্রভাবগুলি কমাতে সচেতনতা এবং কর্মসূচির আহ্বান জানাচ্ছেন।
বাতাসের মানের উপর প্রভাব: দুর্গাপূজার সময় আতশবাজি জ্বালানো বাতাসের মানের উপর উল্লেখযোগ্য প্রভাব ফেলে। এটি বায়ুমণ্ডলে PM2.5 এবং PM10 এর মতো ক্ষতিকারক দূষণকারী পদার্থ নির্গত করে। এই কণা ফুসফুসের গভীরে প্রবেশ করতে পারে, শ্বাসকষ্টজনিত সমস্যা সৃষ্টি করে। অ্যাজমা বা ফুসফুসের অন্যান্য অসুস্থতায় ভুগছেন এমন ব্যক্তিরা বিশেষভাবে ঝুঁকির মধ্যে রয়েছেন।
জল দূষণ সংক্রান্ত উদ্বেগ: জলাশয়ে বিগ্রহ নিমজ্জিত করা আরেকটি বড় সমস্যা। অনেক বিগ্রহ অজৈব পদার্থ দিয়ে তৈরি হয় এবং বিষাক্ত রাসায়নিক দিয়ে রঙ করা হয়। নিমজ্জিত হওয়ার সময়, এগুলি জলে ক্ষতিকারক পদার্থ নির্গত করে, জলজ প্রাণের প্রভাব ফেলে এবং মানুষের ব্যবহারের জন্য জলকে অসুরক্ষিত করে।
স্বাস্থ্যগত প্রভাবঃ দুর্গাপূজার পরে দূষণের মাত্রা বৃদ্ধি স্বাস্থ্যের জন্য গুরুতর ঝুঁকি তৈরি করে। শ্বাসকষ্ট, ত্বকের অ্যালার্জি এবং চোখের জ্বালা এই সময়ের সাধারণ অভিযোগ। দীর্ঘমেয়াদী এক্সপোজার হৃদরোগ সহ দীর্ঘস্থায়ী স্বাস্থ্য সমস্যার দিকে নিয়ে যেতে পারে।
জনসাধারণের সচেতনতার প্রয়োজনঃ বিশেষজ্ঞরা দুর্গাপূজার পরে দূষণ মোকাবেলা করার জন্য জনসাধারণের সচেতনতার গুরুত্বের উপর জোর দেন। তাদের কর্মের পরিবেশগত প্রভাব সম্পর্কে মানুষকে শিক্ষিত করা আরও পরিবেশবান্ধব উৎসবের দিকে নিয়ে যেতে পারে। অজৈব পদার্থের ব্যবহারকে উৎসাহিত করা এবং আতশবাজির ব্যবহার কম করা কিছু গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপ।
সরকারী উদ্যোগঃ সরকার এই উদ্বেগগুলি সমাধান করার জন্য পদক্ষেপ গ্রহণ করছে। বিভিন্ন রাজ্যে পরিবেশবান্ধব উৎসবকে উৎসাহিত করে অভিযান শুরু করা হয়েছে। অথরিটি উৎসবের সময় এবং পরে বাতাস এবং জলের মানের মাত্রা নিয়মিত পর্যবেক্ষণ করে।
এই প্রচেষ্টা সত্ত্বেও, দুর্গাপূজার পরে একটি স্বাস্থ্যকর পরিবেশ নিশ্চিত করার জন্য ব্যক্তিগত এবং সম্প্রদায় দুটি স্তরে আরও কাজ করার প্রয়োজন আছে।